পিন্টু দেবনাথ, কমলগঞ্জ থেকে :
মৌলভীবাজার জেলা সদর, কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, রাজনগর, কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলা সমূহে চা বাগান ও রাবার বাগানের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত ছড়া থেকে অপরিকল্পিতভাবে এবং অবাধে পরিবেশগত সমীক্ষা ব্যতীত চিহ্নিত স্থানসমূহ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ এবং ইজারা প্রদানের প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। একইসাথে কৃষক, কৃষি ও কৃষিজমির ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে দায়ী ব্যক্তিদের নিকট থেকে তা আদায় করার জোর দাবি জানাচ্ছে। গত ২৫ জানুয়ারী বেলা এই নোটিশ প্রদান করে।
নোটিশে বলা হয়, অনিয়ন্ত্রিত, অপরিকল্পিত ও অনুনোমদিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ছড়া সমূহের নাব্যতা হারিয়ে ছড়ার দু’পাড় ভেঙ্গে পড়ছে। কোথাও কোথাও ছড়ার দু’পাশের কৃষিজমি এবং চা বাগানের জমি কেটেও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ছড়ার পাড় সংগলœ কৃষিজমি, বাঁশঝাড়, গাছগাছালি এবং বসতবাড়িও মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। ফলে ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন তরান্বিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ মনে করে জমির শ্রেণী পরিবর্তন অব্যাহত থাকলে কৃষিজমির উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে যা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২-সহ বিদ্যমান অন্যান্য আইন অনুযায়ী অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈধ পন্থায় সিলিকা বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ। এমতাস্থায় বর্ণিত এলাকাসমূহকে বালু মহাল হিসেবে ঘোষণা অথবা ইজারা প্রদান করার পূর্বে পরিবেশগত সমীক্ষা আবশ্যক। একইসাথে এহেন বালু উত্তোলনের ফলে সৃষ্ট কৃষিজমি বিনষ্ট ও পরিবেশগত সমস্যারোধ ও আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগে প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করা হয়েছে।
বেলার এডভোকেট ইকবাল কবির স্বাক্ষরিত নোটিশ প্রেরণের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে অবহিত করার অনুরোধ চেয়ে ভূমি, বন ও পরিবেশ, খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এর সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো এর মহাপরিচালক, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক, মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তর,সিলেট এর পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরে এই নোটিশ প্রেরণ করা হয়।