নেছার আহমদ নেছার
নীল আকাশটা অশান্ত দেখলাম-
ভয়ে কাঁপছে হাওর পারের মানুষের বুক;
অতিথি পাখিগুলিও বিপদ বুঝতে পেরে
ছুটছে দিক-বিদিক;
আস্তে আস্তে ঘন কালো হয়ে
আসল চারিপাশ, দানবীয় এক
ভয়ার্ত রূপ, প্রকৃতির-মনে হচ্ছে
মুহূর্তেই ধ্বংস করে নেবে সব।
সমস্ত গ্রাম থেকে ছোট বড় মানুষের
কান্নার রোল ভেসে আসছে;
অনেকেই উচ্চ স্বরে আল্লাহর
নামে হেফাজতের জন্যে
কাতর আহ্বান জানাচ্ছে।
প্রচণ্ড বাতাস বইতে শুরু হয়ে গেল;
সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি;
গতিটা বাড়ার সাথে সাথে বাতাসের ভয়ানক
শব্দ মানুষের অন্তর কাঁপিয়ে তুলল।
মহা বিপদের ঝংকার।
হাওরের নৌকাগুলো ডুবে গেল,
অসংখ্য বাড়ীঘর ভেঙ্গে তছনছ করে দিল;
অপূরণীয় ক্ষতি হলো যান মালের,
স্বজন হারা মানুষের আর্তনাদে বাতাস
ভারী হয়ে উঠল।
কৈশোরের খেলার সাথী-বিরাট করচ বৃক্ষটাও
মিশে গেল মাটিতে-আমার বুকেও
ঝড় বয়ে গেল, অজস্র স্মৃতির সমাধি হল-
ধ্বংস আর বিবর্তনের বিকল চিহ্ন নিয়ে
গাছটি শুয়ে রইল মৃত্তিকায়।
পৃথিবী বদলে গেল এক ভয়ংকর
ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে, মানুষের অসহায়ত্ব
আশ্রয় খুঁজে পেল মহান স্রষ্টার।