এস এম রাজু জৈন্তাপুর থেকে :
জৈন্তাপুর উপজেলায় নিখোঁজ যুবকের লাশ পাহাড়ের চূড়া থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে পুলিশ ৪জন কে আটক করে।
নিহতের পরিবার জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর সোমবার হরিপুর বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মৎস্য খামারী হরিপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের ইব্রাহীম আলী ড্রাইভারের ছেলে ইউনুছ মিয়া (৩৫) রাত ১২টায় তার নিজস্ব মৎস্য খামারে যায়। সে খামারে পৌছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাড়ীতে কথা বলেন পরিবারের সাথে এর পর থেকেই তার সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারেনি তার পরিবার। এ ঘটনায় নিহতের পিতা ইব্রাহীম আলী বাদি হয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। সাধারণ ডায়েরীর সূত্র ধরে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন-উর-রশিদ’র নের্তত্বে এস. আই আঃ রাজ্জাক ঘটনার তদন্তের ভার গ্রহণ করেন। তদন্তের এক পর্যায়ে খান বাগান এলাকার পাহাড় থেকে নিহত ইউনুছের ব্যবহৃত ওয়ালটন মোটর সাইকেল পুড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করেন। পুলিশের সন্দেহ হয় নিখোঁজ হওয়া ইউনুছ মিয়া কে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। এরই সূত্রধরে পুলিশ হরিপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে, সিলেট শাহজালাল (রা:) কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্র জুয়েল আহমদ(২০) কে আটক করে। জুয়েলের স্বীকারোক্তিমূলক তথ্যের ভিত্তিতে লামাশাম পুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে ড্রাইভার রাসেল আহমদ (২৫) একই গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে ড্রাইভার বেলাল আহমদ (২২) একই গ্রামের কুতুব আলীর ছেলে কয়েছ আহমদ(২৬) কে আটক করে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় রাসেলের কাছে নিহত ইউনুছ মিয়া ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পাওয়ানা ছিল। পাওয়ানা ফেরতের জন্য গত কয়েক দিন থেকে ইউনুছ চাপ দিয়েছিল রাসেলকে। এ সময় রাসেল পরিকল্পনা গ্রহণ করে কিভাবে ইউনুছ কে হত্যা করা যায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে ইউনুছকে টাকা দেওয়ার নামে উপশামপুর এলাকার নির্জন পাহাড়ি টিলায় ধরে নিয়ে য়ায়। পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী ইউনুছকে খুন করে মাটি চাপা দিয়ে ফেলে যায়। পুলিশ তাদের দেওয়া তথ্যের আলোকে উপশামপুর এলাকার নির্জন পাহাড় থেকে ইউনুছের গলাকাটা লাশ গতকাল বুধবার উদ্ধার করে। এদিকে লাশ উদ্ধাররে খবর পেয়ে উৎসুক জনতা এক নজর দেখার জন্য ঘটনা স্থলে ভির জমায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে লাশের সুরত হাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তে জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে বাদ এশা জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরাস্থনে নিহতে লাশ দাফন করা হয়।
এ ব্যাপরে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান- নিহতের পিতা বাদি হয়ে থানায় জিডি করে এস.আই রাজ্জকের নেতৃত্বে অভিযান শুরু করে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়াতে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের দেয়া তথ্যে ভিত্তিতে নির্জন টিলার চূড়া হতে মটিতে পুতে রাখা অবস্থয় গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।