বিএনপি এখন না ঘরকা না ঘাটকা -প্রধানমন্ত্রী

60

hasina_176737760কাজিরবাজার ডেস্ক :
দশম জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি’র সমালোচনা করে বলেন, আমরা বিএনপির অন্তর্জ্বালা জানি। তারা এখন না ঘরকা, না ঘাটকা। নির্বাচন না করে যে ভুল করেছেন সে দুঃখ ভুলতে পারছে না। বিএনপি এ পবিত্র সংসদে না এসে একদিকে ভালই হয়েছে। বিএনপি সংসদে না আসায় জাতি বেঁচে গেছে। গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচনে অংশ নেয়ার সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তিনি জাতীয় সংসদের বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
গতকাল রবিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের সমাপনী অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারর্পাসন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী বলেন দেশে নাকি একদলীয় শাসন চলছে। একদলীয় হলে তিনি কীভাবে বক্তব্য দিতে পারেন। জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বিএনপির জন্ম দিয়েছে। জিয়া একা একা একদিন টিভিতে ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রপতি।  মার্শাল ল জারি করে ক্ষমতায় যে আসে, সেটাকে কোন গণতন্ত্র বলে?
আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের দল নয় বলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাহলে মুক্তিযুদ্ধ করেছে কে? সে সময় কি বিএনপির জন্ম হয়েছে? তিনি হয়তো একদিন বলতে পারেন, নিজামী কামারুজ্জামানরা মুক্তিযুদ্ধ করেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই তো সারা বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তাহলে কী রাজাকাররা মুক্তিযুদ্ধের দল? পাকিস্তানিরাও যেসব কথা বলেন না বিএনপি নেত্রী এখন সেসব কথা বলছেন বলে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন বিএনপি নেত্রী এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। এখন সে মামলায় হাজিরা দিতেও ভয় পান। চোরের মনে পুলিশ পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, ‘সাউথ সাউথ পুরস্কার আমার প্রাপ্য না, এটা বাংলাদেশের জনগনের। তারা যদি আমাদের ভোট দিয়ে বিজয়ী না করতো, তাহলে হয়তো এ পুরস্কার বাংলাদেশ পেতো না। আমরা যেটুকু করেছি, এদেশের জনগণের জন্য পেয়েছি। এর সবটুকু এদেশের জনগণকেই উৎসর্গ করছি বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে আমাদের হাতে ৪ বছর সময় আছে। আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। কিন্তু বিএনপি নেত্রী ক্ষমতায় থেকে টাকা বানাতে চেয়েছেন। তার ছিলো ভাঙা সুটকেস। তিনি দুর্নীতি করেছেন, টাকা খেয়েছেন, দেশের উন্নতি করেন নাই। উন্নতি করলেই বিদ্যুৎ উৎপাদন বিএনপির আমলে কমে গেছে কেন? স্বাক্ষরতার হার সাত বছরে কমে ৪৪ ভাগে নেমে গেলো কীভাবে। উন্নয়নের জোয়ার ভাটার টানে চলে গেছে। তার ছেলেদের উন্নতি হয়েছে। দেশের মানুষ আরও অন্ধকারে পড়ে গেছে। পাঁচ বছরে আমরা তাদের তুলে এনেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার সুফল বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়াই আমাদের লক্ষ, কর্তব্য। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এককোটি বেকার যুবকের কর্মসংস্থান করেছি। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করেছি। বিদেশে যেতে হলে সেখান থেকে ঋণ নিয়ে যেতে পারবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন না বাস্তব।