কুমারপাড়া ও কুমারগাঁওয়ে পৃথক ছিনতাই ॥ স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও আইফোন লুট

33

Hyjekস্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর কুমারপাড়া ও শহরতলীর কুমারগাঁওয়ে পৃথক দম্পতির স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও আইফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। প্রথম ঘটনাটি ঘটে গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ৭টায় বড়গাঁও জামে মসজিদ সংলগ্ন ভাই-বোন মাজারের সামনে ও দ্বিতীয়টি ঘটনাটি গত শনিবার রাতে নগরীর কুমারপাড়া ব্রিটিশ হাই কমিশন সিলেট অফিসের সামনে এ পৃথক দম্পতি ছিনতাইর ছিনতাইর শিকার হন।
কুমারপাড়ায় ছিনতাইয়ের শিকার ফয়েজ উদ্দিন আহমদ নগরীর শিবগঞ্জ সুরমা সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনের মালিক ও তার স্ত্রী এবং কুমারগাঁওয়ে ছিনতাইর শিকার ছাতক জাউয়াবাজার এলাকার লন্ডন প্রবাসী আব্দুল করিম ও তার স্ত্রী সালেহা বেগম।
ছিনতাইর শিকার লন্ডন প্রবাসী সালেহা বেগমের ছোট ভাই জানান, গতকাল সন্ধ্যায় বোন সালেহাকে নিয়ে দুলাই ভাই আব্দুল করিম নগরীর স্টেডিয়াম মার্কেটে ডাক্তার দেখাতে বাড়ি থেকে তারা (সিলেট-থ-১২-৩২৭৯) সিএনজি অটোরিক্সা যোগে রওয়া হন। গতকাল রাতে ঘটনাস্থলে পৌছামাত্র ২টি মোটর সাইকেল যোগে ৪ ছিনতাইকারী তাদের গাড়ীটি থামিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সালেহা বেগমের সাথে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও একটি আইফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে গতকাল রাতে জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘটনাটি আমরা জানি না বা কেউ এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
এদিকে, ছিনতাইর শিকার ফয়েজ উদ্দিন আহমদ জানান, স্ত্রীকে নিয়ে এক জরুরী কাজে নিজস্ব রিক্সাযোগে সুবিদবাজার এলাকায় গিয়েছিলেন। উপশহর এলাকায় নিজ বাসায় ফেরার পথে কুমারপাড়া ব্রিটিশ হাই কমিশন সিলেট অফিসের সামনে আসা মাত্র পেছন থেকে একটি মোটর সাইকেলে দুই যুবক রিক্সার গতিরোধ করে। রিক্সা থামানোর সাথে সাথে এক যুবক তার স্ত্রীর সামনে ছুরি ধরে হাতের স্বর্ণের আংটি ও গলার চেইন দেয়ার কথা বলে। এক পর্যায়ে তারা নিজেরাই ঝাপটা মেরে তা নিয়ে যায়। এছাড়া, অন্যজন ফয়েজ উদ্দিনের হাত থেকে একটি আইফোন নিয়ে যায়। পরে ছিনতাইকারীরা কুমারপাড়ার দিকে চলে যায়। ফয়েজ উদ্দিন জানান, ঘটনার পরপরই তারা ঘটনাস্থলের অদূরে নাইরপুলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে ছুটে যান। তিনি পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। এরপর পুলিশ সদস্যদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি কতোয়ালী থানায় রাতেই একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। কতোয়ালী থানার ডিউটি অফিসার এ এসআই আব্দুল আউয়াল সাধারণ ডায়েরীর কথা স্বীকার করেন।