স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে নিজ শিশুকে পাচারের মামলায় এক পিতাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তার নাম- বাবুল মিয়া (৪০)। সে নগরীর শিবগঞ্জ ঠাকুরপাড়ার মৃত আকমল মিয়ার পুত্র। পুলিশ গতকাল শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। এর আগে গতকাল সকালে শিবগঞ্জ এলাকা থেকে বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাবুল মিয়া ২টি বিয়ে করে। তার প্রথম স্ত্রী রবিজা বেগম। এ স্ত্রী ঘরে তার ঔরসজাত এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বাবুল ২০০৭ সালে ১৪ মার্চ ইসলামী কাবিন মুলে বিয়ে করে বালুচরের মুর্শিদা বেগম (২৫)। বিয়ে পর দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে তার ঔরসজাত সন্তান বাপ্পি (৫) ও অন্যজন পুতুলী ওরফে লক্ষ্মীর জন্ম হয়। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বাবুল তার স্ত্রী মুর্শিদা বেগমকে অমানবিক নির্যাতন ও মারধর করে। এতে বাধ্য হয়ে পুতুলীকে স্বামীর কাছে রেখে বাপ্পীকে নিয়ে বালুচর মার বাড়িতে চলে যান। এর পর স্থানীয় ভাবে মুর্শিদার কাছে পুতুলীকে ফিরত দেয়ার জন্য বাবুল মিয়াকে কয়েকবার চাপ দিলেও সে তাকে ফিরত দেয়নি। মুর্শিদার ধারণা পুতুলীকে পাচার অথবা বিক্রি করে দিয়েছে বাবুল। এ ঘটনায় মুর্শিদা বেগম বাদি হয়ে একমাত্র স্বামী বাবুল মিয়াকে আসামী করে শিশু পাচার ও মানব পাচার আইনে শাহপরান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নং- ২৫ (২৮-১১-১৪)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরান থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আব্দুছ ছাত্তার জানান, প্রথমে ধৃত বাবুল মিয়াকে ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মুর্শিদার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং শিশু পুতুলীকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।