কে.এম লিমন গোয়াইনঘাট থেকে :
গোয়াইনঘাটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখোমুখী অবস্থান নিয়েছিল দুই গ্রামের লোকজন। রণক্ষেত্রে পরিণত হওয়ার আগেই পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
রবিবার (২৭ জুন) সকালে গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইন গ্রামের পশ্চিম মসজিদ সংলগ্ন মাঠে গোয়াইন ও সতি গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের এই প্রস্তুতি চলছিল।
জানা যায়, গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার লেংগুড়া ইউনিয়নের সতি গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে রিকশা চালক হারুন রশিদকে গোয়াইন বাজারে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের গোয়াইন গ্রামের এক ব্যক্তি মারধর করেন। এর জের ধরে রবিবার সকালে সতি গ্রামের কয়েকশ’ লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গোয়াইন গ্রামের পশ্চিম মসজিদ সংলগ্ন মাঠে অবস্থান নেয়।
বিষয়টি জানতে পেরে তাদের প্রতিহত করতে গোয়াইন গ্রামের লোকজনও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই মাঠে যান। এ সময় উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়।
খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে নিজ নিজ গ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। কিন্তু পুলিশের অনুরোধকে কর্ণপাত না করে দুই গ্রামের লোকজন সংঘর্ষ বাঁধতে গেলে পুলিশ ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উভয় পক্ষের লোকজন এখনও নিজ নিজ গ্রামে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিয়ে আছেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ বলেন, তুচ্ছ একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে গোয়াইনঘাটের সতি গ্রাম ও গোয়াইন গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটতে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে থানার ওসি আব্দুল আহাদ একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশকে ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে হয়েছে।