জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
তরুণ তানভীর আহমদ ইমুকে হারিয়ে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ বাসী হতবাক ও শোকে কাতর হয়ে পড়েন। বিগত ৫ বছর আগে ১১ জুলাই মাত্র ১৮ বছর বয়সে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যায় ইমু। অল্প বয়সে তার রেখে যাওয়া স্মৃতি আজও সবাইকে কাঁদায়। অল্প বয়সে তার অর্জনের শেষ ছিল না। সে ছিল একজন মেধাবী শিক্ষার্থী, একজন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয়মুখ, ক্রীড়াঙ্গনের প্রিয়জন, একজন গণমাধ্যম কর্মী। সভ্যতা ও শ্রদ্ধাবোধের পাল্লা ছিল ভারি। ছিল সর্বদা সদালাপী। ছিল তার আলাদা বৈশিষ্ট্য। সহজে যে কাউকে আপন করে নিতে পারতো। এক কথায় সে সর্বগুণে গুণী ছিল। যে কারণে আজও তার স্মৃতি কেউ ভুলতে পারছেন না। সে জগন্নাথপুর বাজারের ঘড়ি ব্যবসায়ী আবদাল মিয়ার ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি শান্তিগঞ্জ উপজেলার সিচনী গ্রামে। বিগত ৪০ বছর ধরে আবদাল মিয়া তার পরিবার-পরিজন নিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে বসবাস করছেন। আবদাল মিয়ার দুই ছেলে সাগর ও ইমু। ছোটবেলা থেকে তারা দুই ভাই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তাদের শ্রদ্ধাবোধ ও সভ্যতা দেখে বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ী সহ সকল পেশার মানুষ তাদেরকে খুব আদর করতেন। তাদের নিয়ে পরিবারের অনেক স্বপ্ন ছিল। হঠাৎ বড় ভাই সাগরকে একা রেখে ছোট ভাই ইমু চলে যাবে কেউ কখনো ভাবতেই পারেননি।
এদিকে-প্রতি বছরের মতো এবারো তানভীর আহমদ ইমুর মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। ১১ জুলাই মঙ্গলবার পরিবারের পক্ষ থেকে জগন্নাথপুরের রসুলপুর ও শান্তিগঞ্জের সিচনী গ্রামে ইমুর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও শিরণি বিতরণ হয়। এতে প্রয়াত ইমুর রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়েছে। পুত্রশোকে কাতর আবদাল মিয়া ইমুর রূহের মাগফেরাত কামনায় দেশ ও বিদেশে থাকা সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।