অবাধে ধূমপান বন্ধ করতে তামাক বিরোধী আইনের বিধিমালা দ্রুত প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি। প্রস্তাবিত বিধিমালা পাস হলে অনেকাংশেই ধূমপান রোধ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি সকল ধরণের তামাকজাত দ্রব্যের কৌশলী বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।
সীমান্তিক তামাক মুক্ত সিলেট প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার সিলেট জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এজেডএম নুরুল হকের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, তামাক সেবনের মানুষের আর্থিক-সামাজিক সবদিক থেকেই ক্ষতি হয়। ধূমপান মাদক সেবনের প্রবেশ পথ। এজন্য ধূমপান বন্ধ করতে সরকার আন্তুরিকভাবে কাজ করছে। সরকার আইন প্রণয়ন করেছে। এর বাস্তবায়ন আমাদের করতে হবে। তবে মানুষকে ধূমপান ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে মিডিয়াকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সিলেট প্রেসক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, জেলা সেনিটারি ইন্সপেক্টর স্নিগ্ধেন্দু সরকার, সীমান্তিকের প্রকল্প সমন্বয়কারী মাসুম বিল্লাহ চৌধুরী, একুশে টিভির সিলেট প্রতিনিধি ওয়েছ খসরু, দৈনিক মানবকণ্ঠের সিলেট ব্যুরো চীফ মনোয়ার জাহান চৌধুরী, এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলাইন্স (আত্মা) এর নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ সুহেল আহমদ, সীমান্তিকের প্রজেক্ট অফিসার মো. মিজানুর রহমান, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি শাহজাহান চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি মাসুম হেলাল, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর সিলেট প্রতিনিধি শুয়াইব হাসান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি