স্পোর্টস ডেস্ক :
বসুন্ধরা সিমেন্ট বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিল টাইগাররা। ফলে, ২০১৪ সালে ওয়ানডে ম্যাচে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। মাশরাফিবাহিনী জিম্বাবুয়েকে ১৯৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছে।
নতুন অধিনায়ক মাশরাফির নেতৃত্বে স্বাগতিকরা ৮৭ রানের জয় তুলে নিয়েছে। আর এ জয়ের পরে টাইগাররা সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল।
২৮২ রানের জয়ের লক্ষ্যে জিম্বাবুয়ের হয়ে ব্যাটিংয়ে উদ্বোধন করতে আসেন ১৪০টি ওয়ানডে খেলা হ্যামিলটন মাসাকাদজা এবং ১৯টি ওয়ানডে খেলা সিকান্দার রাজা। কিছুটা হাত খুলে খেলা এ জুটি ভাঙতে ভূমিকা রাখেন সাকিব আল হাসান। অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে মুশফিকের স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন রাজাকে। এক বল পরেই সাকিব ফেরান সিবান্দাকে।
দুই উইকেট পতনের পর ব্যাটিং ক্রিজে জুটি বাঁধেন মাসাকাদজা-টেইলর। ৪৫ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। মাহামুদুল্লাহর বলে এলবির ফাঁদে পড়ে ৪২ রান করা মাসাকাদজা সাজঘরে ফেরেন।
এরপর জিম্বাবুয়ে শিবিরে আবারো হানা দেন মাহামুদুল্লাহ। মাসাকাদজাকে ফেরানোর পর এবারে তিনি চাকাবায়াকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান।
এরপর মুশফিকের অসাধারণ ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন ক্রমেই বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে উঠা টেইলর। ৩০তম ওয়ানডে অর্ধশতক করে মাশরাফির বলে আউট হন টেইলর (৫৪ রান)।
আবারো মাশরাফি হানা দেন সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপে। এবারে তিনি ফেরান চিগুম্বুরাকে।সাব্বিরের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে জিম্বাবুয়ে দলপতি করেন ১৫ রান।
এরপর সফরকারীদের সপ্তম উইকেটটি তুলে নেন সাকিব। ১১ রান করা সলোমন মিরেকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরত পাঠান তিনি। পরের ওভারেই পানিয়াঙ্গারাকে বোল্ড করেন আরাফাত সানি। সাকিবের চতুর্থ শিকারে আউট হন নাইম্বু। মাহামুদুল্লাহর হাতে ধরা দেন নাইম্বু। আর শেষের উইকেটটি তুলে নেন সানি। জিম্বাবুয়ের দলীয় শতক আসে ১৮.৩ ওভারে। যেখানে পাওয়ার প্লে’র দশ ওভারেই তারা তুলে ফেলেছিল ৫৯ রান। আর ২০ ওভার শেষে সফরকারীরা ৩ উইকেট হারিয়ে তুলে ১০৭ রান। ৩০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে চিগুম্বুরাবাহিনী তোলে ১৪৬ রান। ৪০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে তারা ১৮০ রান তোলে।
এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ করার পর ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তবে শিশিরের কারণে রাতে বোলিং করতে কিছুটা বেগ পেতে হতে পারে টাইগারদের। কারণ এর আগেই নতুন দলনেতা মাশরাফি বিন মর্তুজা জানিয়েছিলেন, রাতে বোলিং করাটা বড় রকমের চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
এর আগে চট্রগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা সিমেন্ট পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে সাত উইকেট হারিয়ে ২৮১ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগাররা।
এছাড়া দলের হয়ে ৬৫ রান আসে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে। আর অভিষেক ম্যাচে ২৫ বলে ৪৪ রান করে দলের বড় সংগ্রহে সাহায্য করেন সাব্বির রহমান।