মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার গোবিন্ধপুর গ্রামে গত শনিবার রাত ১টায় একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে আসামী কর্তৃক পুলিশকে মারধরের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ বলছে সেটা মিথ্যা। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার সদরের সোনারবাংলা ট্রেভেলসের স্বত্ত্বাধিকারী মিছির আলীর দায়েরকৃত একটি মামলায় মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের এস,আই নাজিম উদ্দীন রাজনগর থানার এস,আই আবুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে একদল পুলিশ শনিবার রাত ১টায় আসামী গোপরান মিয়ার বাড়ীতে অভিযান চালায়। পুলিশ গোপরান মিয়ার গোবিন্ধপুরের বাড়ীর বসতঘরের চতুর্দিক ঘেরাও করে গোপরান মিয়াকে দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি শুরু করে। এ সময় আসামী গোপরান পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দরজা খুলে লোহার রড দিয়ে পুলিশকে মারধর করে পালিয়ে যায়। এতে পুলিশের একজন কনষ্টেবল আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। এ ব্যাপারে রাজনগর থানার এস,আই আবুল হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঐ সময় পুলিশকে মারধরের কথাটি বানোয়াট। এলাকাবাসী সূত্রে জানা, সোনার বাংলা ট্রেভেলসের স্বত্ত্বাধিকারী মিছির আলীর সাথে উপজেলার মুনিয়ার পার গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার পুত্র কালাম চৌধুরীর সাথে পাওনা টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ শালিস বৈঠক চলে আসছিল। কালামের দাবী মিছির আলীর কাছে সে নগদ ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পাওনা আছে। এ ঘটনার সূত্র ধরে মিছির আলীর চাচা গোপরান মিয়া কালামের পক্ষ হয়ে গত মঙ্গলবার মিছির আলীর সোনার বাংলা ট্রেভেলসে গিয়ে জোরপূর্বক ২২টি পাসপোর্ট নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে রাজনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক মিয়ার মধ্যস্থতায় মিছির আলীর পাসপোর্ট উদ্ধার হয়। এ নিয়ে মিছির আলী গোপরান ও কালামকে আসামী করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ শনিবার রাত আসামী গ্রেফতারে যায়।