ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে কাল থেকে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব

15

 

স্টাফ রিপোর্টার

কাল বুধবার থেকে ৫দিন ব্যাপী সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে। এ উৎসবকে ঘিরে প্রতিটি সনাতন হিন্দু পরিবারে বইছে আনন্দের সুবাস। বুধবার ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। পরদিন মহাসপ্তমী, মহা অষ্টমী, মহা নবমী ও বিজয়া দশমীতে শেষ হবে ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বাংলার শারদীয় এই দুর্গোৎসব। এ বছর সিলেটে জেলায় ৪৪১টি এবং মহানগরী ১৫৪টি মÐপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
দুর্গাপূজাকে ঘিরে এদিকে বিভিন্ন শপিং মলে শেষ সময়ে ক্রেতাদের আনাগোনায় বাড়ছে। সেই সাথে নিত্য নতুন কালেকশনের পাশাপাশি ক্রেতাদের মনোযোগ টানাতে তোলা হয়েছে বিভিন্ন নামের পোশাক। তবে এবার দেশীয় পোশাকে ঝুঁকেছেন সিলেটের ক্রেতারা। অনেকে এরই মধ্যে কেনাকাটা সেরেছেন। অনেকে আসছেন নতুন করে কিনতে। কেউবা আসছেন টুকিটাকি কেনাকাটার জন্য। তবে শেষ সময়ে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে জুয়েলারি আইটেম, কসমেটিকস, জুতো ও সেন্ডেল। পোশাক কেনাকাটাও চোখে পড়ার মতো। জিন্দাবাজার, নয়া সড়ক, বন্দর বাজার, আম্বরখানা, রিকাবীবাজার, চৌহাট্টাসহ এলাকার বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। সব এলাকায় মার্কেটগুলোকে সাজানো হয়েছে রকমারি সাজে। সেই সাথে নিত্য নতুন কালেকশনের পাশাপাশি ক্রেতাদের মনোযোগ টানার চেষ্টায় কোন ত্রæটি নেই বিক্রেতাদের। সকাল থেকেই নারী-পুরুষরা ভিড় করছেন সিলেটের বিভিন্ন শপিং মলগুলোতে। দরদামে ব্যস্ত সময় পার করেছেন দোকানের কর্মচারীরাও। চারদিকে যেন উৎসবের আমেজ। নিজের পছন্দের পোশাক কিনার সাথে সাথে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পোশাকটাও কিনে নিচ্ছেন অনেকে।
অপরদিকে, দুর্গাপূজায় সিলেটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন। নিয়মিত পূজামÐপ পরিদর্শন করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি ও পুলিশ প্রশাসন। এছাড়া পূজাকালীন নিরাপত্তা ও বিভিন্ন বিষয়ে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ রাখছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।
পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাশ বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি ও পুলিশ প্রশাসন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, র‌্যাব এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া কোনো গুজবে কান না দিয়ে যে কোনো প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পূজা মÐপ সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার।