সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুল আহমদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

17

স্টাফ রিপোটার

যুক্তরাজ্য প্রবাসী, মৌলভীবাজারের সোনাপুর বড়বাড়ির ফজলুল আহমদের বিরুদ্ধে ব্যবসার নামে এক লাখ পাউন্ড নিয়ে পরে তা অস্বীকার করার অভিযোগ ওঠেছে। মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন সিলেট নগরের ইসলামপুর শ্যামলী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী আনছার চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে আনছার চৌধুরী বলেন, ‘ব্যবসার সুবাদে ফজলুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি লন্ডনে বসে বাংলাদেশে গাড়ির ব্যবসা করেন। ব্যবসার জন্য তিনি আমার কাছ থেকে একলাখ পাউন্ড নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি অস্বীকার করছেন।’ এই প্রবাসী প্রতারক ফজলুল সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি জানান, ব্যবসায়িক চুক্তি করে ফজলুল দুই ধাপে এক লাখ পাউন্ড নিয়েছিলেন। চুক্তির মাধ্যমে নেওয়ার অর্থের বিপরীতে আমানত হিসেবে তিনটি ব্যাংক চেক প্রদান করেন। এছাড়া ফজলুল আহমেদের ফিশারিতেও কিছু টাকা বিনিযোগ করেন আনছার চৌধুরী। আনছার চৌধুরীর অভিযোগ, দুই বছর পর লাভসহ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও বিগত প্রায় ৮ বছরেও টাকা দেননি। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়িক কার্য সম্পাদনের জন্য আমি দুই ধাপে এক লাখ পাউন্ড উনাকে প্রদান করি। তিনি আমাকে আমার টাকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে লয়েড টিএসবি ইউকে ও সানটেন্ডার ব্যাংকের তিনটি চেক ও একটি চুক্তিনামা সই করে আমাকে প্রদান করেন। যা আমার নিকট রক্ষিত আছে।’
প্রবাসী আনছার চৌধুরী বলেন, ‘দুই বছরের মধ্যে লাভসহ এক লাখ ২৪ হাজার পাউন্ড ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে কোভিড হওয়ার কারণে তিনি কিছুদিন সময় চাইলে তাকে সময় দেয়া হয়। বর্ধিত সময় পেরিয়ে গেলেও টাকা দেওয়ার কোনো আগ্রহ নেই দেখে বাধ্য হয়ে লন্ডনে একটি সালিশের আয়োজন করি।’ তিনি আরও জানান, সালিশে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সুপারিশে ২০২৩ সালের মধ্যে তিন কিস্তিতে উল্লেখিত টাকা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত হয়। ফজলুল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার করেও তিনি প্রতিশ্রæতি রক্ষা করেনি বরং আমার থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
পাওনা টাকা না দিয়ে ফজলুল এখন টাকার কথা অস্বীকার করছেন বলে অভিযোগ করেন আনছার চৌধুরী। তিনি জানান, গত আগস্ট মাসে দেশে ফিরে ফজলুল আহমদ দেশে অবস্থানের খবর পান তিনি। চেষ্টা করে তাকে ডেকে শ্যামলীর বাসায় সালিশের আযোজন করেন। কিন্তু প্রতারক ফজলুল সালিশে বসে আমার পাওনা টাকার কথা অস্বীকার করেন। প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র থাকা সত্তে¡ও এমনভাবে অস্বীকার করায় বিস্মিত হয়েছেন আনছার চৌধুরী। তিনি এই ফজলুল এর সাথে লেনদেন করে কেউ যেন বিপদে না পড়েন সে বিষয়ে সতর্ক করেন এবং তার পাওনা এক লাখ ২৪ হাজার পাউন্ড উদ্ধারে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন।