স্টাফ রিপোর্টার
গোলাপগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দর্জি দোকানী জয় আহমদ (১৮) নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী-২ আদালতে নিহতের বড় ভাই মনোয়ার মিয়া বাদি হয়ে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ ৬৬ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০/৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ এলাকার বারোকোট গ্রামে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষের সময় গুলিতে রায়গড় গ্রামের সানি আহমদ নামের তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা মো. কয়ছর আহমদ বাদী হয়ে বুধবার থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের।
জয় হত্যা মামলা: সিলেট-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ছাড়াও এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম (৫০), সাবেক গোলাপগঞ্জ পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল (৪৫), পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন (৪৫), পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহিন আহমদ খাঁন (৪৫), বহরগ্রামের মোস্তাকুর রহমান, ফুলবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হানিফ খান (৪২), উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আলী আকবর ফখর (৪২), ৫নং ফুলবাড়ি ইউপি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল হক পিনু (৩৫), বাঘা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, উত্তর রায়গড়ের সেলিম আহমদ, দক্ষিণ রায়গড়ের সায়েম আহমদ (২৫), বাদেপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির ও সাধারণ সম্পাদক মস্তাক আহমদ (৪৫), উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আলীম উদ্দিন বাবলু (৪২), সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম তুষার, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মুমিত হীরা (৪৫), শরিফগঞ্জ ইউপি মেম্বার কবিরুল ইসলাম (৪৫), ফুলবাড়ির ইজলাল আহমদ মেম্বার (৪৫), সিলেট জেলা ছাত্রলীগ নেতা আবু সুফিয়ান উজ্জল (৩৫), সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম (৩৫) ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ (৩৫), জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রুমেল সিরাজ (৪০), সেলিম আহমদ মেম্বার (৪৫), শরীফগঞ্জ ইউপি আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফুর রহমান লুতি (৫৫), উপজেলা ভ‚মি কর্মকর্তা অভিজিৎ চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাছুদুল আমিন (৩৯), থানার এসআই সুরুজ আলী, হেতিমগঞ্জের হাম্মদ আহমদ, বাঘার জাফরান জামিল, সিলেট জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ আহমদ চৌধুরী, আমানিয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ (৩৮), ঘুগারক‚ল পশ্চিম পাড়ার আকবর হোসেন লাভলু, ফুলবাড়ির রেদওয়ান হোসেন (৫০), দত্তরাইলের শাকিল আহমদ পারভেজ, উত্তর আলমপুরের রাসেল আহমদ (২৫), বাদেশ্বর কালাশহরের জহির উদ্দিন, বাঘার আরজমন্দ আলী (৫০), ভাদেশ্বর দক্ষিণ ভাগের লায়েক আহমদ, লামা চন্দরপুরের হাবিবুর রহমান ফারুক, গোলাপগঞ্জ ছত্তিশের বিলাল আহমদ, রণকেলীর কামরান আহমদ, নগরীর জামিল আহমদ, ফতেহপুরের মঈন উদ্দীন, কানিশাইলের মেহেদী আহমদ সামি (২৩), মাছুম টিলার তারন আহমদ, ঢাকা দক্ষিণের শেখ ইব্রাহিম আলী, আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ, দত্তরাইলে নজরুল ইসলাম ও হোসেন আহমদ (৩৫), শিনখই এলাকার আবুল লেইছ, কানিশাইলের নাহিদ আহমদ (৩২), দক্ষিণ কানিশাইলের সৌরভ মালাকার (২৫), দত্তরাইল ইনারপারের শাহেদ আহমদ, কানিশাইলের দেলোয়ার হোসেন (৩৫), রায়গড়ের রীপন আহমদ (৪৫) ও শাকের আহমদ, বুধবারীবাজার বানীগাজির কামাল উদ্দীন ও তাকের আহমদ, সুনামপুরের আব্দুস সামাদ, ইসলামপুরের ফখর উদ্দিন, দক্ষিণ সুনামপুরের রুহেল আহমদ, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলুর রহমান, ফুলবাড়ি পূর্বপাড়ার রুহেল আহমদসহ অজ্ঞাত ২০০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সানি হত্যা মামলা: মালায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সিলেট-৬ আসনের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদকে। উল্লেখযোগ্য কয়েকজন আসামি হলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরওয়ার হোসেন ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম। এছাড়া জেলা, উপজেলা, পৌর ও বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে ১১৯ আসামির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৮০-৯০ জনকে।