সিলেটে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের পথসভা

3

 

জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) সিলেট জেলার উদ্যোগে সিলেটে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার নগরীর কোর্টপয়েন্টে এ পথসভার আয়োজন করা হয়। জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট শাহপরাণ থানা কমিটির সভাপতি খোকন আহমদ এর সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু’র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ মুহিদুল ইসলাম, সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সহ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের উচ্ছেদের পরিণতিতে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়নি। ফলে সমাজ দেহের অভ্যন্তরে জ্বলছে জাতীয় মুক্তি, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সংগ্রামের লেলিহান শিখা। আর এই মুক্তির আকাঙ্খা যাতে স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা উচ্ছেদের লক্ষ্যে অগ্রসর হতে না পারে তার জন্য সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষের ধুয়ো তুলে জণগনকে বিভক্ত করে স্বীয় স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে। আজ সরকারের রূপ নিয়ে যে তৎপরতা তা স্বৈরাচারি রাষ্ট্র ব্যবস্থাকেই শক্তিশালী করবে। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন হলেও স্বৈরতান্ত্রিক বৈষম্যমূলক সমাজব্যবস্থা অক্ষুন্ন রেখে সাম্রাজ্যবাদের নতুন দালাল ক্ষমতায় এসে স্বৈরতন্ত্রকেই পাকাপোক্ত করছে। তাই আশু কর্তব্য হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ ও তার এদেশীয় দালালদের সমূলে উচ্ছেদ করে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠা করা। শ্রমিক-কৃষক-জনগণের রাষ্ট্র সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে এবং দুর্নীতিবাজ লুটেরা এমপি-মন্ত্রী আমলাসহ দলীয় নেতাকর্মীদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও শ্বেতপত্র প্রকাশ করে শাস্তির দাবি জানিয়ে আগামী ২৫ ও ২৮ আগস্ট যথাক্রমে কদমতলী পয়েন্ট ও আম্বরখানা পয়েন্টে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আন্দোলনকারীদের তুলে নিয়ে নিষ্ঠুর নির্যাতন, হাজার হাজার ছাত্র-শ্রমিক-জনতাকে গ্রেফতার এবং আহত করে ছাত্র সমাজকে দমন করতে ব্যর্থ হয়ে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পরিকল্পনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে যে অর্র্ন্তবতীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে তার মাধ্যমে এদেশে মার্কিনের অবস্থান আরও শক্তিশালী করার মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক রণনীতির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী যুদ্ধে সম্পৃক্ত করার বিপদ আরও বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।