কাজির বাজার ডেস্ক
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে। তাকে ভারত থেকে ধরে আনতে হবে। সকল হত্যা ও গণহত্যার বিচার আমাদের আদায় করতে হবে। আমরা বলেছিলাম ভাস্কর্য করার দরকার নেই, আপনার পিতাকে আর জাতির সামনে অপমানিত করবেন না। একথা বলায় আমাকে গ্রেফতার করলেন, জাতীয় সংসদে আমাকে নিয়ে আক্রমণ করলেন, আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান লেলিয়ে দিলেন। আমাদের কথা সেদিন মানলে আজ সারা দেশে এই লাঞ্ছনা তাদের বরণ করতে হতো না।’
বুধবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের হাবিবপুর ঈদগাঁ ময়দানে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘১৬ বছর আমাদের বুকে চেপে বসেছিল এক জালিম শাহী। মানুষ ভাবতে শুরু করেছিল এদের হয়তো নামানো সম্ভব না। তাদেরও বিশ্বাস ছিল তাদের কেউ নামাতে পারবে না। তারা মসনদকে জবর-দখল করে বসেছিল। তাদের ইচ্ছা ছিল লাখো মানুষকে হত্যা করে হলেও শেখ হাসিনা ক্ষমতা চালিয়ে যাবেন।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদী আশ্রয় দিয়েছেন তাতে আমাদের আপত্তি নেই। এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। প্রয়োজনে শেখ হাসিনাসহ তার পুরো পরিবার ভারতে নির্বাসিত হোক আমাদের আপত্তি নাই। কিন্তু দিল্লীতে বসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে নাক গলানোর চেষ্টা করলে এদেশের আঠারো কোটি মানুষ যুদ্ধের ময়দানে নামবেন।’
মামুনুল হক আরও বলেন, ‘২০২৪ সালে নব্য ফ্যাসিবাদের জায়গা এ বাংলাদেশে হয় নাই। ভবিষ্যতেও যদি কেউ এদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়, তাহলে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্র-সমাজ সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এমন দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে যে বাংলাদেশের মানুষ আর কোন দিন এ দেশে ফ্যাসিবাদ আসতে দেবে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বসবাস করতে হলে, রাজনীতি করতে হলে এ দেশের মানুষের পালস্ বুঝতে হবে, আবেগ বুঝতে হবে। ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে দীর্ঘ দিন অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা যাবে কিন্তু চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকা যাবে না।’
সভায় খেলাফত মজলিস সোনারগাঁ শাখার সভাপতি হাফেজ ক্বারী মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন খান, সংগঠনটির সোনারগাঁ থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।