কাজির বাজার ডেস্ক
শুক্রবার থেকে টঙ্গীতে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আজ শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার এই আনুষ্ঠানিকতা। লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ৩ দিনের ইজতেমায় মশগুল থাকবেন দুনিয়া ও আখেরাতে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায়। নিজ নিজ জানমাল খরচ করে নিজের খেয়ে পড়ে তাবলীগ অনুসারী মুসল্লীরা প্রতিবছর এখানে অবস্থান করে থাকেন। রাজধানী ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে তুরাগ নদীর তীরে এ বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন।
দু’গ্রæপে অনুষ্ঠিত প্রথম পর্বের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আলেমওলেমা গ্রæপের মুরব্বি মাওলানা জোবায়ের। ৪ দিন বিরতি দিয়ে ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রæয়ারি অনুষ্ঠিত হবে আদি তাবলীগ জামাতের আমির মাওলানা সাদ গ্রæপের বাংলাদেশস্হ আমির ওয়াসেকুল ইসলামের ইজতেমা। প্রথম পর্বের ইজতেমায় গতকাল বৃহস্পতিবারই মুসল্লীদের ভীড়ে কানায় কানায় ভরে গেছে ইজতেমা ময়দান। প্রায় এক বর্গকিলোমিটারের বিশাল মাঠের কোথাও ঠাঁই নেই এখন। অনেক মুসল্লী জায়গা না পেয়ে রাস্তার পাশে স্থান নিয়েছেন।
এদিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, র্যাব, এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন বিশ্ব ইজতেমায় আসা মুসল্লীদের নানা খেদমতে কন্ট্রোলরুম খুলেছে। স্বাস্থ্য সেবায় টঙ্গী হাসপাতালসহ নানা সেবা সংস্থা বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করবে।
মাঠ জুড়ে মাইক স্থাপন : ইজতেমা ময়দানের মাইকের জিম্মাদার প্রকৌশলী আশরাফ আলী জানান, মুসল্লিদের সুষ্ঠুভাবে বয়ান শোনার জন্য পুরো ময়দানে শব্দ প্রতিধ্বনিরোধক প্রায় ২শ বিশেষ ছাতা মাইক, ৫০টি ইউনিসেফ (প্রতিধ্বনি প্রতিরোধক) মাইকসহ প্রায় আড়াইশটি মাইক স্থাপন করা হয়েছে।
বিদেশী মুসল্লিদের অবস্থান : বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের উত্তর পশ্চিম কোনে বিদেশ থেকে আসা মুসল্লীদের থাকা কাওয়া ও ঘুমানোর প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে ছাউনি দিয়ে। এখানে তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বিরাও অবস্থান করে থাকেন।
গাজীপুর মেট্রো পুলিশ কমিশনার : বৃহস্পতিবার দুপুরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের কাছে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্টেডিয়ামে পুলিশ কন্ট্রোলরুমে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম এক প্রেসব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই পুলিশ ইজতেমা মাঠের নিরাপত্তার দায়িত্বে নেমেছে। ইজতেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো ইজতেমা ময়দানে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করবে। পুলিশের পাশাপাশি ইজতেমা এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্হ আগের চাইতে জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়াও উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরা ব্যবহার করে বিভিন্ন যানবাহনের গতিবিধি মনিটরিং করা হচ্ছে। অপরদিকে র্যাবের একাধিক ইউনিট ইজতেমা ময়দানে কাজ করছে। বিভিন্ন বিভাগের গোয়েন্দা নজরদারিও বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইজতেমা শুরুর আগের দিন থেকে পুরো ইজতেমা এলাকা নিরাপত্তার বেষ্টনীর আওতায় মধ্যে থাকবে।
এদিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, র্যাব, এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন বিশ্ব ইজতেমায় আসা মুসল্লীদের নানা খেদমতে কন্ট্রোলরুম খুলেছে। স্বাস্থ্য সেবায় টঙ্গী হাসপাতালসহ নানা সেবা সংস্থা বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করবে।