স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। তিন দিনের এ অবরোধের প্রথম দিন সিলেট ছিলো অনেকটা উত্তপ্ত। অবরোধের প্রথম দিন সিলেটে পুলিশের ধাওয়ায় দুর্ঘটনায় এক যুবদল নেতা নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বুধবার সিলেট বিভাগে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় যুবদল। আর বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিন কাটছে অনেকটা শান্ত পরিস্থিতিতে। বিক্ষিপ্ত কিছু পিকেটিং এর ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সকাল থেকেই মহানগরীর রাস্তায় যানচলাচল স্বাভাবিক ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তায় বাড়ে গণপরিবহনের সংখ্যা। সিলেটের কদমতলী বাস স্ট্যাÐ থেকে কয়েকটি দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গেছে। আর স্বাভাবিক ছিলো ট্রেন চলাচল।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত থাকলেও সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে লাঠিসোটা হাতে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তবে কিছু সময় পিকেটিং করার পর পুলিশ দেখামাত্রই দৌঁড়ে পালিয়ে যায় তারা। এসময় একজনকে আটক করে পুলিশ। ছাত্রলীগের ওপর হামলার ঘটনার পর অবরোধের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা যায়নি। তৃতীয় দিনে সিলেটে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও সতর্ক অবস্থানে ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নগরীর মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রাখা ছিলো। বিজিবি ও র্যাব সদস্যদের টহল ছিলো সবখানে।
জানা গেছে, নগরীতে অনেকটা স্বাভাবিকভাবেই চলে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহন। তবে দূরপাল্লার বাস কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। অবশ্য যে কয়েকটি বাস ছেড়ে গেছে সেগুলোতে ছিল পুলিশের নজরদারি। তবে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিলো বলে জানিছেন সিলেটের স্টেশন ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট মহানগরীর তেমুখী পয়েন্টে শান্তি সমাবেশে করে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। এসময় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ শফিকু রহমান চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াত যেখানে অবরোধ হরতাল কর্মসূচি দিবে, সেখানেই আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করবে। আওয়ামী লীগের উন্নয়নে তারা ঈর্ষান্বিত হয়ে ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দিচ্ছে। আমরা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের নিয়ে তা প্রতিরোধ করবো।
অপরদিকে দুপুরে সিলেট নগরী ঝটিকা মিছিল করে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। ৩০-৩৫ জনের মিছিলটি কাজিটুলা জামে মসজিদের সামনে আসে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে। এরপর সেখানে পথসভায় ৩-৪ মিনিট বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে সকলকে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এর প্রায় ১৫ মিনিট পর মিছিলস্থলে আসে পুলিশ।