স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের পূর্ব মিরাবাজার এলাকায় বিরতি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো চার জনের।
নিহত দুইজন হলেন, সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (৩২) ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাঁও গ্রামের বাদল দাস (৪০)। সোমবার রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্র জানায়, দগ্ধদের মধ্যে তারেক আহমদ রবিবার দিনগত রাতে এবং সোমবার সকালে বাদলের মৃত্যু হয়। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, আগুনে তারেক ও বাদলের দেহের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
এর আগে সোমবার রাতে সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক ও মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্ব) বিকেলে টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
জানা গেছে, ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে সিলেট নগরীর পূর্ব মিরাবাজার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের জেনারেটর কক্ষের একটি সেফটি বাল্ব বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই কক্ষে আগুন লেগে নয়জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে ম্যানেজারসহ সাতজন ওই স্টেশনে কাজ করতেন এবং দুইজন পথচারীও রয়েছেন। পরে হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর দগ্ধ নয়জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। দগ্ধদের শরীরে ১৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে বলে হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানান স্বজনরা।
ফিলিং স্টেশনের মালিক আফতাব আহমদ লিটন দাবি করেন, সন্ধ্যার পর কার্যক্রম শেষ করে সবাই পাম্প বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় স্টেশনের জেনারেটর কক্ষের একটি সেফটি বাল্ব বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই কক্ষে আগুন লেগে দুইজনের মৃত্যু হয় এবং সোমবার আরও দু’জনের মৃত্যু হয়।