জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধের আল্টিমেটাম পেট্রোল পাম্প মালিকদের

7

কাজির বাজার ডেস্ক
তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধের আল্টিমেটাম দিয়েছে পেট্রোল পাম্প মালিকরা। দাবি মানা না হলে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে তারা কোনো ধরনের জ্বালানি তেল পরিবহন করবে না।
রবিবার ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মালিক সমিতির নেতারা এই আল্টিমেটাম দেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ ট্যাংক-লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হলেও আমাদের কমিশন কমিয়ে দেয়া হয়। তেলের দাম বাড়ানো হলে আমাদের কমিশনও বাড়াতে হবে। বাস্তবতা হলো আমাদের বিনিয়োগ খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে। সুতরাং আমাদের কমিশনও বাড়াতে হবে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে কমিশন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি গেজেট প্রকাশ করতে হবে। তা না হলে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ করে দেবো। আমাদের দাবিগুলো হচ্ছে, জ্বালানি তেল বিক্রয় কমিশন ৭ দশমিক ৫০ ভাগ নির্ধারণ করতে হবে, পেট্রোল পাম্পের ব্যবসায়ীরা যে কমিশন এজেন্ট তা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে এবং ট্যাংক-লরি ভাড়ার ওপর ভ্যাট সংযুক্ত নয়- এ বিষয়ে সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে ট্যাংক-লরির ইকনোমিক লাইফের জন্য পৃথকভাবে সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পাম্প মালিক সমিতির রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল, খুলনা বিভাগের সভাপতি আবদুল গাফফার বিশ্বাস, রাজশাহী বিভাগের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল আউয়াল জ্যোতি, কুমিল্লা জেলার সভাপতি মো কামাল চৌধুরী প্রমুখ।
পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির মহাসচিব মিজানুর রহমান রতন বলেন, আমাদের দাবি বিক্রি পর্যায়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ কমিশন দিতে হবে। আমরা দাবি নিয়ে যতবারই মন্ত্রণালয়ে গিয়েছি, ততবারই সরকারের পক্ষ্য থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে- তবে তা আজো বাস্তবায়ন হয়নি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সংবাদ সম্মেলন ডেকে আল্টিমেটাল দিয়েছি।
পেট্রোলপাম্প মালিকদের অন্য দাবিগুলো হলো, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভ‚মির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল করতে হবে। কারণ প্রবেশদ্বার ব্যবহারকারীরা অর্থাৎ সকল যানবাহন সরকারের নিয়ম মাফিক কর প্রদান করেন। ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতীত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। মালিক কর্তৃক প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বিমা প্রথা চালু করার জন্য বিমা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæতি মোতাবেক সব জ্বালানি ডিপো সংলগ্ন ট্যাংকলরি শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত শৌচাগার ও বিশ্রামাগার নিশ্চিত করতে হবে।