ছাতকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত

3

ছাতক থেকে সংবাদদাতা

ছাতকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চেচান ও বাউর গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত প্রায় ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, স্থানীয় চেচান বাজারে বড়শির সুতা কিনতে যায় সন্ধ্যায় চেচান গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে তাওহীদ আহমেদ ও তার মামাতো ভাই শিশু ইয়াসমিন ইসলাম তালুকদার। বাউর গ্রামের শামসুদ্দিন মিয়ার পুত্র রাকিবুল হাসানের দোকান থেকে তারা কিছু বড়শির সুতা ক্রয় করে। ক্রয়কৃত সুতা এলামেলো হওয়ায় দোকানদার ও খরিদদারের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। এসময় খরিদদার তাওহিদ আহমদের স্বজনরা ওই দোকানে এসে এলোমেলো সুতা গুছিয়ে দিতে দোকানদারকে বলেন। দোকানি রাকিবুল হাসান খরিদদারের কথা কর্ণপাত না করে মোবাইল গেইমে ব্যস্থ হয়ে পড়লে দোকানি ও খরিদদারদের মধ্যে কথা কাটা-কাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে রাতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দু’ গ্রামের মানুষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের চেচান এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। সড়কের উভয় পাশে যাত্রী ও মালবাহী গাড়ি আটকে দীর্ঘ যান জটের সৃষ্টি হয়। যাত্রী ও পথচারীরা আতংকে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটাছুটি করতে দেখা গেছে। সংঘর্ষে ব্যাপক ইট-পাটকেল ও কাঁচের বোতল ব্যবহার করে সংর্ঘকারীরা। খরব পেয়ে ছাতক থানা পুলিশ, জাউয়া ফাঁড়ির পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও সুনামগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয় গ্রামের শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। গুরুতর আহত
কিরণ মিয়া (৪৫), সফিকুল ইসলাম (৪২), আব্দুল হাই (৪৮), আশরাফ আহমদ (৩২), তাওহীদ (১৮), তারেক আহমদ (২২), শাওন মিয়া (২৫), ফয়ছল আহমদ(২৭), সাকিব আহমদ (১৯), জাকির হোসেন (২৪), জুনেদ আহমদ (৩২), রাকিবুল(২২) সুহেল মিয়া (৩০), হোসাইন আহমদ (১৭), রফিক আহমদসহ ২৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির ঘটনা স্বীকার করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। রাতেই সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।