স্টাফ রিপোর্টার :
খাদিমে সুফিয়া বেগম (২২) নামের এক নারীকে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে নিহতের স্বামী আয়নুল হককে আটক করেছে পুলিশ। আয়নুল নগরীর বাগবাড়ি এলাকার মাসুক মিয়ার পুত্র। আর নিহত সুফিয়া বেগম এয়ারপোর্ট থানা এলাকার খাদিম চা বাগানের ( মিত্রিঙ্গা লাইন বরইতলা) মৃত হারুন মিয়ার কন্যা।
গতকাল রবিবার সকালে গৃহবধূ সুফিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় তার পরিবারের লোকজন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, প্রায় ৭ মাস আগে আয়নুলের সাথে সুফিয়া বেগমের বিয়ে হয়। এরপর থেকে তাদের প্রায়ই ঝগড়া হত। এমনকি বিবাদের জেরে আয়নুল তাকে মারধর করতেন। শনিবার ৬ মার্চ আয়নুল তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। ওইদিন রাতে আয়নুল তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমের হাতে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। ওই সময় নিহত সুফিয়া বেগমের বোন ইনজেশন পুশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তাকে আয়নুল জানায়, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে ইনজেশন দেয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে সুফিয়া বেগম হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওসামী হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এ ব্যাপারে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম জাকির বলেন, গৃহবধূ সুফিয়া বেগমকে ইনজেশকন পুশ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী আয়নুলকে আটক করেছে। হাসপাতালে নেয়ার আগেই গৃহবধূ সুফিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।