সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় মসজিদের কাঁঠাল নিলাম নিয়ে দুই গ্রæপের সংঘর্ষে বাবুল মিয়া নামের একজন নিহত হন। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মইনুল হককে ভারত হয়ে ফ্রান্সে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার করেছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ। সোমবার দুপুরে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মইনুল হক (৩৭) দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠীর মৃত আসক আলীর ছেলে।
বেনাপোল পোর্ট থানা সূত্রে জানা যায়, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ফ্রান্স প্রবাসী মইনুল হক বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট জমা দেয়। এ সময় তথ্য যাচাই করে দেখা যায়, তিনি হত্যা মামলার তালিকাভুক্ত আসামি। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ পোর্ট থানাপুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
গত ৯ জুলাই বিকেলে শান্তিগঞ্জের হাসনাবাদ গ্রামের মসজিদের কাঁঠাল নিলাম নিয়ে দ্বীন ইসলাম ও মালদার মিয়া গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে বাগবিতÐা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে পরদিন (১০ জুলাই) সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় দুই পক্ষের লোকেরা দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে দুইপক্ষের তিন নিহত হন। নিহতরা হলেন- দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠী হাসনাবাদ গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে নুরুল হক (৪৫), আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫০) ও মালদার মিয়া গোষ্ঠীর আব্দুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৫৫)।
দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠীর নিহত বাবুল মিয়ার ভাই ফারুক আহমদ বাদী হয়ে মালদার মিয়া গোষ্ঠীর মইনুল হকসহ ৯৪ জনকে আসামি করে সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে শান্তিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ডিউটি অফিসার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) কাজী জাহিদুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি বেনাপোল পোর্ট থানাপুলিশের হেফাজতে আছেন। সংশ্লিষ্ট থানায় তাঁকে পাঠানো হবে।