ইতিহাস গড়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘হিমালয়া ট্রেইল’ জয় শাকিলের

12

কাজির বাজার ডেস্ক
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নেপালের ১, ৭০০ কিলোমিটারের “দ্য গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল” অভিযান সম্পন্ন করেছেন বাংলাদেশের ইকরামুল হাসান শাকিল। গত ৯ জুলাই কাঞ্চনজঙ্ঘা উত্তর বেসক্যাম্পে (প্যাঙপেমা, ৫, ১৪২ মি.) তার এই অভিযান শেষ হয়। জুলাইয়ের ৯ তারিখ ভোর সাড়ে চারটায় লোনাক থেকে রওনা হয়ে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে কাঞ্চনজঙ্ঘা বেসক্যাম্পে পৌঁছান শাকিল।
অত্যন্ত বিপদসঙ্কুল এবং কষ্টসাধ্য পর্বতাভিযান এই “গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল”। যা সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ৫০ জনেরও কম পর্বতারোহী এই অভিযান পুরোটা সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। এবার এই অভিযান সফলভাবে শেষ করে হিমালয়ের ইতিহাসের পাতায় বাংলাদেশের নাম লেখালেন শাকিল। নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ইকরামুল হাসান শাকিল তার এক লেখায় বলেন, গত বছরের আগস্টের প্রথম সকালেই হিলশা থেকে মূল অভিযান শুরু করে হোমলা, মোগু, ডোলপা, মানাঙ, গোরখা, রুবি ভ্যালি, ল্যাঙটাঙ, হিলাম্বু, গৌরিশঙ্কর, সলোখুম্বু, এভারেস্ট বেসক্যাম্প, মাকালু ন্যাশনাল পার্ক হয়ে নেপালের উঁচু-নিচু দুর্গম বিপজ্জনক পথ পায়ে হেঁটে কাঞ্চনজঙ্ঘা বেসক্যাম্পে পৌঁছাই ২০২৩ সালের ৯ জুলাই সকাল ৭.৫০ মিনিটে। এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে সময় লেগেছে ৯৬ দিন এবং আমাকে হাঁটতে হয়েছে মোট ১০২ দিন। এই অভিযানে আর্থিক সমস্যায় পড়েন শাকিল। শাকিলের মতে, “অর্থাভাবে এই ঐতিহাসিক সফলতা নিয়ে দেশে ফিরতে পারছি না। অভিযানে দারাজ, হা-মীম গ্রæপ, মিস্টার নুডলস, বিএমটিসি এবং মোহাম্মদ হলিডেজ পাশে দাঁড়ালেও শেষ পর্যন্ত অর্থঅভাব দূর হয়নি।” পরে তার পাশে দাঁড়ায় মোবাইল আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান নগদ। এ বিষয়ে নেপাল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ইকরামুল হাসান শাকিল বলেন, ঋণের অর্থ পরিশোধ করা নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী নেপালি শুভাকাক্সক্ষীদের সময়মতো অর্থ পরিশোধ করতে না পারলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তাম। এর সঙ্গে শুধু তো আমার নয়, দেশের ভাবমূর্তিও জড়িয়ে আছে। নগদ আমাকে চিন্তামুক্ত করেছে।”
এই অভিযানে হিমালয় পর্বতের কোল ঘেঁষে শত গ্রাম, নদী, জঙ্গল, পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অসংখ্য রোমাঞ্চকর বৈচিত্র্যময় সুন্দর ও ভয়ানক অভিজ্ঞতা হয়েছে শাকিলের। হিলশা থেকে শুরু করে কাঞ্চনজঙ্ঘা বেসক্যাম্প পর্যন্ত হিমালয়ের দুর্গম ও বিপদজনক ১৭০০ কিলোমিটারের অধিক পথ পাড়ি দিয়ে শাকিল এখন কাঠমান্ডুতে অবস্থান করছেন।