পিন্টু দেবনাথ, কমলগঞ্জ থেকে
বৃহত্তর সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ সড়ক এখন পর্যটন সমৃদ্ধময় এক জনপদ।
এখানে দেশী বিদেশী পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে বেড়াতে আসেন। অনেক পর্যটকরা রিক্সা, টমটমে আর জিপ গাড়ী নিয়ে এই সড়কে যাতায়াত করে থাকেন। খোলামেলা পরিবেশে এখানে সবুজ গাছগাছালি, চা বাগান, উচু নিচু টিলা, পাহাড় আর বন্যপ্রাণীদের শব্দতো আছেই। এগুলো দেখতে আর শুনতে পাওয়া যায়। শ্রীমঙ্গল চৌমুহনী থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরত্ব কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনী। শুরুতেই রয়েছে বধ্যভ‚মি, তার পর একটু এগুলেই দূধারে সবুজ চা বাগান। চাইলে ছবি উঠতে পারবেন। এরপর পাঁচ তারকা হোটেল। এসব দেখে দেখে আপনি কমলগঞ্জ উপজেলা সীমান্তে প্রবেশ করবেন। উপজেলা প্রশাসন রাস্তার দুধারে স্বাগত জানিয়ে তোরন নির্মান করেছে।
তারপর শুরু হবে আঁকাবাঁকা পাহাড়ী পথ। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করে আপনি চলে আসবে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। এই উদ্যানে সব সময়ই ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের দেখতে পাবেন। একটু খেয়াল করলে শুনতে পারবেব পশুপাখিদের ডাক। এটি আপনাকে বাড়তি আনন্দ যোগাবে। সেখান থেকে আবার আঁকাবাঁকা পথ অতিক্রম করে মাগুরছড়া চলে আসবেন। সেখানে ১৯৯৭ সাথে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটেছিল। বর্তমানে চারিদিকে কাটা তারের বেড়া রয়েছে। পাশেই ঢাকা সিলেট রেল পথ। রয়েছে মাগুরছড়া খাসি পুঞ্জি। চাইলে আপনি অনুমতি নিয়ে পুঞ্জিও দেখতে পারবেন। জানতে পারবেন খাসিদের জীবন প্রণালী সম্পর্কে।
এরপর আবার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে চলে আসবেন ফুলবাড়ী চা বাগান। সেখানে একটি ছোট ঘর রয়েছে। একটু ক্লান্তি মনে করলে রেষ্ট নিয়ে চলে আসতে পারবেন। তারপর কিছু জায়গা আসার পর হীড বাংলাদেশ। হীড বাংলাদেশে য²া, কুষ্ঠ ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা করা হয়। পাশাপাশি রয়েছে রেষ্ট হাউস। এখানে রাত্রিযাপনও করা যায়। নান্দনিক পরিবেশে আপনাকে বাড়তি আনন্দ যোগাবে। সেখান থেকে কমলগঞ্জ পৌরসভা পাড়ি দিয়ে ভানুগাছবাজার। বাজার থেকে ধলাই নদী অতিক্রম করেই কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনী, উপজেলা পরিষদ, মৌলভীবাজার সড়ক, আদমপুর কুরমা সড়ক, শমশেরনগর সড়ক।
এছাড়া সন্ধ্যার পর এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলে মনটা আনন্দে ভরে যাবে। সড়কের দূপাশ ও মধ্যে বাতি দেয়া হয়েছে। যখন গাড়ীর আলো জ্বলবে তখন বাতিগুলোও জ্বলে উঠবে।
সব কিছু মিলে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ সড়ক পর্যটকদের জন্য এক আকর্ষণীয় পথ। আপনিও ঘুরে আসতে পারেন।