কাজির বাজার ডেস্ক
ভারতের নয়াদিল্লিতে ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার বৃষ্টিপাতে রেকর্ডের খবর জানায় দিল্লির আবহাওয়া অফিস। ওই বৃষ্টিপাতে এ পর্যন্ত ১২ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
দিল্লির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশিরভাগ অংশে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। ইন্ডিয়ান মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি) দিল্লি, হরিয়ানা, হিমাচল, উত্তরাখÐ, রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। রাজস্থানের রাজসামন্দ, জালোর, পালি, আজমির, আলওয়ার, বাঁশওয়ারা, ভরতপুর, ভিলওয়ারা, বুন্দি, চিতোরগড়, দৌসা, ধৌলপুর, জয়পুর এবং কোটাতেও ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি।
দিল্লি এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় আজও ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। জলাবদ্ধতার কারণে রাজধানীর মানুষ তীব্র যানজট এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হচ্ছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রোববার সব সরকারি কর্মকর্তাদের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে শহরজুড়ে তীব্র জলাবদ্ধতার কারণ চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। কেজরিওয়াল টুইটারে ওই নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।
অবিরাম বৃষ্টি ও ভ‚মিধসের কারণে রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো বার্ষিক অমরনাথ যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়েতে প্রায় ৩০০০ যানবাহন আটকা রয়েছে। যেখানে শনিবার রাস্তার এক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিমলা, সিরমাউর, লাহৌল এবং স্পিতি, চাম্বা এবং সোলানে ভ‚মিধস এবং আকস্মিক বন্যার কারণে বেশ কয়েকটি রাস্তা অবরুদ্ধ হওয়ার পরে আবহাওয়া অফিস হিমাচল প্রদেশের সাতটি জেলার জন্য একটি ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে।
বিয়াস নদী বিপৎসীমা লঙ্ঘন করায় কুল্লু জেলার মহাসড়কের একটি অংশ ভেসে গেছে।