সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুইডেনে আবারো সরাসরি রাষ্ট্রীয় মদদে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সুনামগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সর্বস্থরের তৌহিদী জনতা। শুক্রবার জুমার নামাজের পর সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মুহাম্মদপুর পয়েন্টে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বেশ কয়েকটি মসজিদ থেকে মিছিল সহকারে বিভিন্ন স্থরের তৌহিদী জনতা অংশগ্রহণ করেন। সুনামগঞ্জ দ্বীনি সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ার হোসেন আব্দুল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও মুহাম্মদপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ নোমান এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ আলহেরা জামেয়া ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, শান্তিগঞ্জ দামোধরতপী মাহমুদপুর দাখিল মাদ্রসার সুপার মাওলানা শহিদুল ইসলাম, বনলতা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা ইবরাহিম খলিল, বলাকা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা সালমান আহমেদ মাজহারী, মুহাম্মদপুর দরগাহ জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আলী উসমান, আলহেরা জামেয়ার শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ। এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ আব্দুল কাদির মাষ্টার, পোষ্ট অফিসের সাবেক কর্মকর্তা ফারুক আহমদ, প্রভাষক আফজল করিম, সাবেক ইউপি মেম্বার ফরিদ আহমদ, আবুল কালাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মোঃ শাহেদ আলী, আব্দুল হাই মোঃ শরীফ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি সালাহ উদ্দিন মোঃ মাহবুব, ফরিদ মিয়া, যুব নেতা কাওসার আলম প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, মুসলমানদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় পবিত্র কুরআন পোড়ানোর মাধ্যমে বিশ্বের সকল মুসলমানসহ শান্তিকামী প্রতিটি মানুষের কলিজাকে দগ্ধ করা হয়েছে। সারা বিশ্বের মুসলিমরা যখন পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করছিল, তখন এই ঘৃণ্য ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেছে সুইডেন সরকার ও উগ্রবাদীরা। ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা‘ নামে বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করার ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এ অসভ্য ও ঘৃণ্য ঘটনার পূর্ণ দায়ভার সুইডেন সরকারকে গ্রহণ করতে হবে। এর আগে ২০২০ ও ২০২২ সালেও একই ঘটনা ঘটানো হয়েছে সুইডেনে। বক্তারা বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিভিন্ন মুসলিম দেশ এ ঘৃণ্য ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। অনেক দেশ সুইডেন থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে। তবে এ তৎপরতা যথেষ্ট নয়। মুসলমানদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় পবিত্র কুরআনের শান-মান মুসলমানদেরকেই রক্ষা করতে হবে। এজন্য অবিলম্বে মুসলিম দেশগুলোর নেতাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশে সরকারকে এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি সুইডেনের সকল পণ্য বর্জনেরও আহবান জানান বক্তারা।