স্পোর্টস ডেস্ক :
আচ্ছা, এশিয়া কাপে কি মেকশিফ্ট ওপেনার খেলানোর চিন্তা চলছে? মিডল অর্ডার থেকে কাউকে ওপরে নিয়ে ওপেনার হিসেবে খেলানোর ভাবনা টিম ম্যানেজমেন্টের? অবস্থাদৃষ্টে কিন্তু তাই মনে হচ্ছে। ১৭ জনের দলে বিশেষজ্ঞা ওপেনার যে মাত্র দুজন!
জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ছিলেন ৫ ওপেনার- মুনিম শাহরিয়ার, লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্ত আর পারভেজ হোসেন ইমন। সেখান থেকে এশিয়া কাপে নেই ৩ জন- লিটন, শান্ত আর মুনিম।
শুধু এনামুল হক বিজয় আর পারভেজ ইমনকেই রাখা হয়েছে। লিটন ইনজুরির কারণে নেই। আর মুনিম শাহরিয়ার ও নাজমুল শান্ত জায়গা পাননি অফফর্মের কারণে।
একসঙ্গে এত ওপেনার ছেঁটে ফেলা এবং তাদের বদলে কোনো বাড়তি ওপেনার না নেওয়া-প্রশ্ন জাগে বৈকি! আজ বিকেলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় দল ঘোষণার সময়ও উঠলো সে প্রশ্ন।
তৃতীয় ওপেনার হিসেবে কেন সৌম্য সরকারকে বিবেচনায় আনা হলো না? সৌম্য কি চোখের আড়ালে চলে গেলেন? মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানালেন, ‘সৌম্য বাদ নয়। আমাদের এইচপি আছে। এ দলও আছে। সেখানে আছে। আর ১৭ জনের বাইরে আরও ৪ জন স্ট্যান্ডবাইও থাকবে।’
নান্নু যোগ করেন, ‘সৌম্য চোখের আড়ালে চলে যায়নি। হলে তো ‘এ’ দলের হয়ে উইন্ডিজে পাঠাতাম না। ভবিষ্যতে আমাদের চিন্তায় আছে।’
এ ছিল গণমাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথন। তবে রাতে সঙ্গে আলাপে প্রধান নির্বাচক খোলাসা করলেন, কেন মাত্র দুজন ওপেনার দিয়ে দল সাজিয়েছেন।
প্রশ্ন ছিল, এত বড় আসরে ২ জন মাত্র প্রতিষ্ঠিত ওপেনার। তবে কি আপনাদের কোনো বিকল্প চিন্তা আছে? নান্নু বলেই দিলেন, ‘হ্যাঁ, আছে। আমরা মিডল অর্ডার থেকে কাউকে ওপেনার হিসেবে খেলানোর কথা ভাবছি।’
তবে তিনি কে বা কাদের কথা ভাবা হচ্ছে, তা জানাননি প্রধান নির্বাচক। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ মেহেদি কিংবা আফিফ হোসেনকে ওপেনিংয়ে নিয়ে আসা হতে পারে। মেহেদির তো ওপেনিং খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আফিফও ঘরোয়া ক্রিকেটে টপঅর্ডারে ব্যাটিং করে অভ্যস্ত।