কাজির বাজার ডেস্ক
গত এক মাসে নতুন ২১০ মামলায় বিএনপির ৮৩০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। গত এক মাসে (১৯ মে থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত) এসব মামলায় ৯ হাজার ৩০০ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও মামলার সমালোচনা করে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনপূর্ব সময়ের মতো একই কায়দায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের হত্যা, নির্যাতন, গ্রেপ্তার ও গায়েবি মামলা বিস্ময়করভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারি হারে সারা দেশে গণগ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা, বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হচ্ছে। রাত নামলেই আওয়ামী যুবলীগÑছাত্রলীগের তাÐব চলছে প্রতিটি জনপদে।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঘুম কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা কেউ বাড়িতে অবস্থান করতে পারছেন না। সরকারের বিরুদ্ধে যারা সমালোচনা করছেন, তাঁদের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা শেখ হাসিনাকে রক্ষা করার জন্য বহুমাত্রিক নীলনকশা করছে।
তিনি বলেন, সরকারের পতনের দিন গণনা শুরু হয়েছে। দেশের মুক্তিকামী জনতা সরকারের পতনের ধ্বনি শুনতে পাচ্ছে। এ কারণে জনবিচ্ছিন্ন ব্যর্থ সরকার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের অন্তিম সময়ের বিষাদের সুর বাজছে এখন। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি-নেতারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। তাঁদের অসংলগ্ন কথাবার্তা আর ক্রমাগত হুমকি যেন আর্তচিৎকার। অতিরিক্ত উৎকণ্ঠা, মানসিক চাপ ও উদ্বেগে অবৈধ সরকার তালগোল পাকিয়ে ফেলছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভ‚ইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।