গ্যাস বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নাসির উদ্দিন এডভোকেট, যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন চৌধুরী, সদস্য সচিব জননেতা মকসুদ হোসেন এক বিবৃতিতে গত ২৭ ফেব্র“য়ারী বৃহস্পতিবার বিইআরসি’র চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলন করে এবং ঢাকা ওয়াসা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এক সঙ্গে বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানোর এই উদাহরণ খুবই কম। ঢাকা ওয়াসা গণমাধ্যমের মুখোমুখি না হয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েই দায়িত্ব শেষ হয়েছে। বিইআরসি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আগে লোক দেখানো গণশুনানী করেছিল। দেশবাসীর প্রশ্ন যখন বাজারে লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সীমিত আয়ের মানুষ অসহায় তৈরি পোষাক সহ বিভিন্ন শিল্পখাত ঝুঁকিতে তখন বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানো কতটা অযুক্তিক? জ্বালানী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এই মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো প্রয়োজন ছিল না। সরকারী প্রতিষ্ঠান হয়েও পিডিবি বছরে ৫০০ কোটি টাকা লাভ করেছে। যা আইন অনুযায়ী করতে পারে না। পিডিবির দায়িত্ব হলো জনগণকে সেবা দেয়া, মুনাফা করা নয়। বার বার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি এটা কোন অবস্থায় মেনে নেয়া যায় না। সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা একটি দুর্নীতিবাজ চক্র সাধারণ মানুষের সাথে যেন এক যুদ্ধ শুরু করেছে। চীনের সাম্প্রতি করোনা ভাইরাসের নীতিবাচক প্রভাব ইতিমধ্যে আমাদের অর্থনীতিতে পড়তে শুরু করেছে। গ্যাস বিদ্যুৎসহ জনদুর্ভোগ লাঘবে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলো কর্মসূচি দেশবাসী দেখতে চায়। নেত্রীর মুক্তি, নির্বাচন ও গণতন্ত্রের নামে লুপাটতন্ত্র দেশবাসী আর দেখতে চায় না। জ্বালানী খাতে দুর্নীতি লুটপাট বন্ধ করে টেকসই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সরকারের উচিত এই সিদ্ধান্ত পুন:বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি প্রত্যাহার করার জোর দাবী জানান। বিজ্ঞপ্তি