কাজির বাজার ডেস্ক
এখন থেকে সব সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার বাড়ির মালিকরা ছাদবাগান করলে হোল্ডিং ট্যাক্সের ওপর ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সচিবালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ছাদবাগানের ধারণা উন্নত দেশগুলোতে অনেক আগে থেকেই প্রচলিত রয়েছে। নাসার মতে, শহর এলাকায় অনেক সময় সাধারণ তাপমাত্রার চেয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকে, যাকে আরবান হিট আইল্যান্ড ইফেক্ট বলা হয়। এর থেকে কিছুটা স্বস্তির জন্য ছাদবাগান অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে পারে। আর অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশেও বর্তমানে বহুতল ভবনের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এই ভবনগুলোর অব্যবহৃত ছাদগুলোকে কাজে লাগিয়ে সবুজ বিপ্লব শুরু করা সম্ভব।
এ বিষয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গাছ একটি শহরের পরিবেশের অপরিহার্য উপাদান। অথচ ঢাকা শহরে গাছের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। ঢাকার তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ঢাকা শহরকে বাঁচাতে হলে গাছ লাগাতে হবে। গাছই পরিবেশ রক্ষা করবে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভ‚মিকা রাখবে। আমরা আগামী দুই বছরে দুই লাখ গাছ লাগানোর কার্যক্রম শুরু করেছি।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে ছাদ কৃষির মাধ্যমে সবুজ বিপ্লব ঘটাতে চাই। ঢাকায় বাগান বা কৃষির জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। অতএব ছাদই কৃষির জন্য একটি বড় ক্ষেত্র হতে পারে। জনগণকে ছাদবাগানে উৎসাহিত করতে ১০% কর ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিলাম। বিষয়টি অনুমোদনের জন্য ২০২০ সালের নভেম্বরে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। আমার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই মন্ত্রণালয় সব সিটি কর্পোরেশনের জন্য পরিকল্পিত ছাদ বাগানের ওপর কর ছারের অনুমোদন দিয়েছে।
মেয়র আরও বলেন, আমি আনন্দিত কারণ আমার উদ্যোগের ফলে শুধু ডিএনসিসি নয়, দেশের সব সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকরা এই সুবিধা পাচ্ছেন। আমি বিশ্বাস করি এর ফলে পুরো দেশে কৃষির বিপ্লব ঘটবে।