কাজিরবাজার ডেস্ক :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে প্রশ্নফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া ৬৩ শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতিসহ অবৈধ উপায়ে ভর্তি হওয়ার অভিযোগে ওই ৬৩ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জালিয়াতি করে ভর্তির কারণে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন: আব্দুল ওয়াহিদ (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০১৫-১৬), ইছাহাক আলী (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০১৫-১৬), আনিকা বৃষ্টি (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০১৬-১৭), ফিওনা মহিউদ্দিন মৌমি (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০১৬-১৭), সালমান এফ রহমান হৃদয় (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-২০১৫-১৬), ইসরাত জাহান ছন্দা (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-২০১৬-১৭), রাকিবুল হাসান (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-২০১৫-১৬), সৌভিক সরকার (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-২০১৫-১৬), মেহেদী হাসান (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০১৫-১৬), হাসিবুর রশিদ (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০১৫-১৬), মারুফ হাসান খান (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০১৫-১৬), সাফায়েত নূর সাইয়ারা রোশিন ( ইংলিশ ফর স্পিকার অব মাদার ল্যাংগুয়েজ , আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ২০১৬-১৭), রাফসান কবির (ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ ইনস্টিটিউট ২০১৬-১৭), জুনায়েদ সাকিব (পরিসংখ্যান বিভাগ ২০১৪-১৫), মোস্তাফিজ উর রহমান (তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল পূর্বতন বিভাগ, ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান, ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ২০১৩-২০১৪), শরমিলা আক্তার আশা (রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২০১৬-১৭), লাভলুর রহমান লাভলু (রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২০১৫-১৬), জাকিয়া সুলতানা (রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২০১৬-১৭), সামিয়া সুলতানা (অর্থনীতি ২০১৬-১৭), সিনথিয়া আহমেদ (অর্থনীতি ২০১৬-১৭), জান্নাত সুলতানা (অর্থনীতি ২০১৬-১৭), আশরাফুল ইসলাম আরিফ (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ২০১৬-১৭), আমরিন আলম জুটি (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ২০১৫-১৬), মেহেজাবিন অনন্যা (টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ২০১৬-১৭), আফসানা নওরিন ঋতু (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ২০১৬-১৭), ফাতেমা আক্তার তামান্না (ইতিহাস বিভাগ, ২০১৭-১৮), এম ফাইজার নাঈম (বাংলা, ২০১৫-২০১৬), জিয়াউল ইসলাম (বাংলা, ২০১৬-১৭), তাজুল ইসলাম সম্রাট (ইসলামিক স্টাডিজ, ২০১৬-২০১৭)।
নুরুল্লাহ (ইসলামিক স্টাডিজ, ২০১৬-২০১৭), মো. মাসুদ রানা (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ২০১৫-১৬), ফাতেমা তুজ জোহরা (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ২০১৬-১৭), মো শাবিরুল ইসলাম (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি , ২০১৫-২০১৬), ইফতেখারুল আলম জিসান (ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ২০১৭-১৮), নাফিসা তাসনিম বিন্তী (ফারসি ভাষা ওসাহিত্য বিভাগ, ২০১৬-১৭), শাশ্বত কুমার ঘোষ (বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ, ২০১২-১৩), মো. তৌহিদুল হাসান আকাশ (তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল, ২০১৬-১৭), শেখ জাহিদ বিন হোসেন ইমন (ফিন্যান্স বিভাগ, ২০১৬-১৭), মো মোহাযামেনুল ইসলাম (ফার্মেসি,২০১২-১৩), মো. সাইদুর রহমান (ফার্মেসি, ২০১৬-১৭), আব্দুর রহমান (ফার্মেসি-বি.ফার্ম, ২০১৭-২০১৮), সুবহা লিয়ানা তালুকদার (আইন, ২০১৬-১৭), আজলান শাহ ফাহাদ (আইন, ২০১৭-১৮), বেলাল হোসেন (মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৩-১৪), মোরশেদা আক্তার (মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৬-১৭), তানজিনা সুলতানা ইভা (মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৬-১৭)।
মো. মাসুদ রানা (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০১৬-১৭), মো. মোহাইমিনুল রায়হান ফারুক (স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট, ২০১৬-১৭), আবুল কালাম আজাদ (পদার্থ বিজ্ঞান, ২০১৪-২০১৫), জেরিন হোসাইন (রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ২০১৬-১৭), আবির হাসান হৃদয় (রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ২০১৬-১৭), নওশীন আফরিন মিথিলা (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ২০১৭-১৮), আল আমিন পৃথক (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ২০১৬-১৭), মো. শাদমান শাহ (টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগ, ২০১৬-১৭), শিহাব হাসান খান (সংস্কৃত বিভাগ, ২০১৫-১৬), সাদিয়া সুলতানা (ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ২০১৬-১৭), সাদিয়া সিগমা (বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ, ২০১৬-১৭), মো. আবু মাসুম (যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ, ২০১৫-১৬), শাহাৎ আল ফেরদৌস ফাহিম (ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ, ২০১৬-১৭), মো. আশেক মাহমুদ জয় (ফিন্যান্স বিভাগ, ২০১৬-১৭), মাহবুব আলম সিদ্দিকী সম্রাট (মার্কেটিং বিভাগ, ২০১৭-১৮), সালমান হাবীব আকাশ (আইন বিভাগ, ২০১৬-১৭), মো. মশিউর রহমান (মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৩-১৪)।
এদিকে সোমবার ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নাম প্রকাশ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে পাঁচ দিনের আল্টিমেটাম দেন। এর ভেতর বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নাম প্রকাশ না করা হলে প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এর আগে বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশ করার ব্যাপারে ভিসি ইতিবাচক হলেও অভিযোগ উঠেছিল প্রক্টর নাম প্রকাশ করতে অনীহা প্রকাশ করছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডাকসুর সদস্য প্রক্টরকে এই হুঁশিয়ারি দেন। ঘোষিত আলটিমেটামের একদিনের মাথায় তালিকা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত বলেন, এই তালিকা প্রকাশ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব। কিন্তু এই দায়িত্ব প্রশাসন কেন এতদিন অবেহেলা করলো? আমাদের কেন আল্টিমেটাম দিতে হলো? তারপরও আল্টিমেটাম দেওয়ার পর এই তালিকা প্রকাশ করার জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, এই তালিকায় যাদের নাম আছে সেখানে কোনো ভুলত্রুটি আছে কি না তা যেন খতিয়ে দেখা হয়। পাশাপাশি এই ধরনের অনিয়ম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আর যেন না হয় এই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।