কাজির বাজর ডেস্ক
তৃণমূলের অনৈক্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন বড় ধরনের সতর্ক বার্তা দিয়েছে আওয়ামী লীগকে। দলীয় মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লার হারের পেছনে অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। অনেকেই এর সঙ্গে ভোটের আগমুহ‚র্তে মার্কিন নতুন ভিসানীতির ঘোষণাকেও যুক্ত করছেন। গাজীপুর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত। এখানকার পাঁচটি সংসদীয় আসনই আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। বর্তমান মন্ত্রিসভায় গাজীপুরের রয়েছেন দুজন সদস্য। এ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে টিম গঠন করা হয়েছিল। তবুও বিএনপিবিহীন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর এমন পরাজয় মেনে নিতে পারছে না আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এই ভরাডুবি ক্ষমতাসীনদের বেশ ভাবনায় ফেলেছে। দলটির নীতিনির্ধারকরা পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান করছেন।
এদিকে সামনেই আরও চার সিটি করপোরেশনের ভোট। এরপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এমন সময় দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সিটিতে নৌকার প্রার্থীর পরাজয় নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা ও হিসাব-নিকাশ। গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় টিম পরাজরের কারণ অনুসন্ধান শুরু করেছে। দলের আগামী কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে লিখিত আকারে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।
নেতারা ধারণা করছেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে করণীয় বিষয়ে দিকনির্দেশনা আসবে। দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, এই নির্বাচনকে তারা শিক্ষা হিসাবে নিতে চান। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের ভুল-ক্রটি সংশোধন এবং ঐক্য সুদৃঢ় করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে চান তারা।
সামনে আরও চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এসব নির্বাচনকে ঘিরেও আওয়ামী লীগের কোন্দল স্পষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহীতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকট। প্রকাশ্যেই অনেকে নৌকার বিরোধিতা করছেন। ভোটের আর খুব বেশি সময় বাকি না থাকলেও নৌকার পক্ষে এখনো আওয়ামী লীগের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামানো সম্ভব হয়নি। বরিশালে সাদিক আবদুল্লাহকে ঘিরে একটি বলয় তৈরি হয়েছে। ওই বলয় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে না। কোন্দলমুক্ত নয় সিলেট এবং রাজশাহীও।