চুনারুঘাটে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

3

 

চুনারুঘাট প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ৪ সাংবাদিক ওপর হামলার ঘটনায় ‘বালু সিন্ডিকেটের হোতা’ সেলিম আহমেদ ও তার ৩ সহযোগীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচারের সিনিয়র রিপোর্টার নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫/৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে চুনারুঘাট থানায় মামলাটি করেন। আসামিরা হলেন, উপজেলার সাটিয়াজুরী গ্রামের আশ্রব উল্লার ছেলে সেলিম আহমেদ (৩০), পূর্ব বড়াইল গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুল হান্নান (৪০), বাগবাড়ি গ্রামের মৃত ইউনুছ মিয়া তরফদারের ছেলে জাহাঙ্গীর তরফদার (৩২) ও সুন্দরপুর গ্রামের জাবেদ মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল (৩২)।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা কুখ্যাত বালুখেকো হিসাবে এলাকায় পরিচিত। তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে পরিবেশ বিধ্বংসী ড্রেজার মেশিন দ্বারা বালু উত্তোলন করে আসছে। তাছাড়া রোড পারমিটবিহীন অবৈধ যান ট্রাক্টর দ্বারা উক্ত বালু পরিবহন করে চুনারুঘাট থানার বনগাঁও এলাকার রাস্তাঘাট বিনষ্ট করাসহ শব্দ দূষণ করে ওই এলাকার জনগণের ও পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি সাধন করছে।
গত ১৪ মে দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি ও হবিগঞ্জের বাণীর বার্তা সম্পাদক আমীর হামজাকে সাথে নিয়ে এলাকায় সরজমিনে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করেন মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচারের সিনিয়র রিপোর্টার নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ। যা গত ১৭ মে দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচারে ও হবিগঞ্জের বাণী পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে আসামিরা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
গত ১৭ মে উপজেলার বনগাঁও গোদারাঘাট পয়েন্টে খোয়াই নদীর বালুমহালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আফিয়া আমিন পাপ্পা। এ সময় তিনি আসামিদের ৫০ হাজার টাকা অর্থদÐ প্রদান করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যান এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচারের যুগ্ম-সম্পাদক কাজল সরকার, মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচারের সিনিয়র রিপোর্টার নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ এবং দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি ও হবিগঞ্জের বাণীর বার্তা সম্পাদক আমীর হামজা। এ সময় তারা টিভিতে সংবাদ প্রচারের জন্য তথ্য সংগ্রহ ও ভিডিও ধারণ করেন। এরপর তারা হবিগঞ্জে ফেরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে আসামিরা তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে আসামিরা উত্তেজিত হয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে এবং তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।