‘হিমুর শরীরে এখন ক্যান্সারের জীবানু তার চিকিৎসা প্রয়োজন।’ শুধু হিমু নয়, ‘ক্যান্সারের জীবানু মিছির আলীর দেহে, শুভ্র আর রূপা ক্যান্সারের ঝুঁকিতে।’ ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সর্বত্র, ‘শাওন আর কত সামলাবেন।’
তাই এখন দাবি ওঠেছে নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমদের রেখে যাওয়া হিমু, মিছির আলী, শুভ্রা ও রূপাদের বাঁচাতে ক্যান্সার হাসপাতাল করার!
সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে হুমায়ুন আহমদের ৬৯তম জন্মবার্ষিকীতে সিলেটে কেন্দ্রীর শহীদ মিনারের সামনে এসব লেখনী প্লেকার্ড ঝুলিয়ে মানববন্ধন করে হুমায়ুন ভক্তরা। এ সময় সারচার্জের অর্থ ব্যয় করে দেশে বিশ্বমানের ক্যান্সার হাসপাতাল করার দাবি করেন তারা।
হুমায়ুন সাহিত্য সংসদ সিলেটের আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন তামাকের ওপর এক শতাংশ হারে স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ তামাকের কারণে সৃষ্ট রোগীদের চিকিৎসা ও পুণর্বাসন কাজে ব্যয় করা হবে।
বক্তারা অর্থমন্ত্রীর ওই ঘোষণার বাস্তবায়ন দাবি করে বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, থাইল্যান্ড, কাতার, নেপালসহ দশটি দেশ তামাক পণ্যের ওপর স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ আরোপ করেছে। নেপাল ক্যান্সার গবেষণা এবং হাসপাতাল নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় করে থাকে। ভারতে একটি বিড়িশ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়েছে। এই টাকা দিয়েই নিবন্ধিত শ্রমিকদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ দেশেও এই প্রক্রিয়া চালুর দাবি জানান বক্তারা।
গত তিন বছরে ৯শ কোটি টাকা সারচার্জ সংগ্রহে সরকারের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বমানের একটি হাসপাতাল করতে এইখাত থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। এর মাধ্যমে লেখক প্রয়াত লেখক হুমায়ুন আহমদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে, মনে করেন তারা।
সংগঠনের সভাপতি রকি দাসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-আহ্বায়ক শ্রাবন আচার্য্য সুজনের পরিচালনায় মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন- যুগ্ম আহ্বায়ক জামসেদ উদ্দিন, সদস্য মুন্না প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি