জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এবার বাম্পার বোরো ফলন হওয়ায় সরকারের কাছে উচ্চমূল্যে ধান বিক্রি করতে কৃষকরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে লটারি দেয়া হয়েছে। এবার ১২০০ টাকা মণ দরে জগন্নাথপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের ৫১৮ জন কৃষকের কাছ থেকে ১৬৩৫ মেট্রিকটন ধান কিনবে সরকার। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে ইচ্ছুক ১৫৪৮ জন কৃষক আবেদন করেছেন। আরো অনেকে আবেদন করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে মাত্র ৫১৮ জন কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে গিয়ে লটারি দেয়া হয়েছে।
১৫ মে সোমবার নিজ কার্যালয়ে লটারি প্রদান করেন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাজেদুল ইসলাম। এ সময় চিলাউড়া-হলদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ূম মশাহিদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কামন্ডার আবদুল কাইয়ূম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাজন আকন্দ, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজাহান মিয়া, পৌর কাউন্সিলর কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দ, প্রবীণ ব্যবসায়ী আশ্রফ উল্লাহ, জগন্নাথপুর দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন, জগন্নাথপুর সদর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা দিপক সূত্রধর, রাণীগঞ্জ খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা নিপম সুমের, সাবেক ইউপি সদস্য সুন্দর আলী সহ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধান বিক্রি করতে আসা প্রায় শতাধিক কৃষক-জনতা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে-জগন্নাথপুর উপজেলার সর্বত্র ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি হচ্ছে। তাই উচ্চমূল্য ১২০০ টাকা মণ দরে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে কৃষকরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন বলে কৃষকদের মধ্যে অনেকে জানান।