সিসিক নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে কোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ

5

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেট জেলা জাতীয়পার্টির সাবেক সহ সভাপতি ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পদপ্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, এবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বাণিজ্য হয়েছে। প্রায় কোটি টাকার বিনিময়ে আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে জাতীয় পার্টির টিকিট। এ কারণে দলীয় ফোরামের নেতৃবৃন্দ আমার সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। এবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রার্থী হতে প্রায় এক বছর আগে থেকে মাঠে নামি আমি। মাঠে নামার আগে এ ব্যাপারে আমি দলীয় চেয়ারম্যান জিএম কাদের সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার সহযোগিতা কামনা করি। তিনি আমাকে মাঠে নামার কাজ করার কথা বললে আমি প্রচারনা শুরু করি। দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু একই ভাবে আমাকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন। শুক্রবার দুপুরে সিলেটের জিন্দাবাজারস্থ একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি বিগত ২০১৮ সালে সিলেট-১ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচন করেছি। এবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হতে বিগত এক বছর আগে সিলেটে কার্যক্রম শুরু করি। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হতে গোটা নগরে পোস্টারিং, ব্যানার ও বিলবোর্ড স্থাপন করি। কিন্তু টাকার কাছে ফিকে হয়ে পড়েছে আমার স্বপ্ন।
মাহবুব বলেন, রমজানের সময় আমাকে দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এতে আমি প্রচার ও প্রচারনায় আরো গতি আনি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আমি দলের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে ১০ হাজার টাকার দিয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেই। আমি যখন দলের মনোনয়নপত্র জমা দেই তখন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় জানান, আগামী ৬ই মে ইন্টারভিউ’র জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকায় আসবেন। এ কথা শোনার পর আমি সিলেটে চলে আসি এবং নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রস্তুতি চালিয়ে যাই। কিন্তু মঙ্গলবার ৪ মে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বোর্ডের সভায় নজরুল ইসলাম বাবুলকে সিলেটের মেয়র প্রার্থী হিসেবে করা হয়েছে।
অতীতেও নির্বাচনে এরকম টাকায় খেলায় মনোনয়ন বানিজ্য হয়েছে। এতে করে জাতীয় পার্টির অবস্থান ক্ষয় হচ্ছে। এ বিষয়ে পার্টির পৃষ্টপোষক এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।