নির্বাচিত হওয়ার ২ মাসের মাথায় \ জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকমল হোসেন আর নেই, বিভিন্ন মহলের শোক

21

স্টাফ রিপোর্টার :
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন আর নেই। গত সোমবার ২৬ ডিসেম্বর রাত ১ টার দিকে তিনি ঢাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার প্রায় দুই মাসের মাথায় মৃত্যুবরণ করলেন তিনি। চলতি বছরের ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাত ১২ টার দিকে আকস্মিকভাবে হার্ট অ্যাটাট হয় আকমল হোসেনের। এরপর দ্রæত তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আকমল হোসেনের ছেলে মেয়েরা লন্ডন থেকে দেশে ফেরার অপেক্ষায় তাদের সাথে কথা বলে কাল বৃহস্পতিবার জানাযা ও দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় সিলেট নগরীর নাইয়রপুল জামে মসজিদে প্রথম জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর আড়াইটায় জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামসি স্কুল মাঠে তার দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। শ্রীরামসি গ্রামের সন্তান আকমল হোসেন দুই দুইবার মীরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেনের মৃত্যু গভীর শোক প্রকাশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সিসিক কাউন্সিলর আজাদ : জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আকমল হোসেন এর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ। মঙ্গলবার এক শোকবার্তায় আজাদ বলেন, আকমল হোসেন ছিলেন আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ব্যাক্তিত্ব। এলাকার উন্নয়নে তিনি ব্যাপক ভ‚মিকা রেখেছেন। ইতিবাচক কর্মকাÐের মাধ্যমে মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেছিলেন তিনি। মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন কাউন্সিলর আজাদ।
মহানগর আওয়ামী লীগ : জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ মোঃ আকমল হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এক শোক বার্তায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তাঁর মৃত্যুতে জগন্নাথপুর রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হলো। যা পূরণ হবার নয়।
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী : জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হেসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেনা জ্ঞাপন করেছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি এক শোকবার্তায় বলেন, আকমল হোসেন ছিলেন একজন সৎ এবং ন্যায় নিষ্টাবান জনপ্রতিনিধি। তিনি আমৃত্য মানুষের সেবা করেছেন। তার মৃত্যুতে দল একজন নিবেদিত প্রান বঙ্গবন্ধু প্রেমী মানুষকে হারালো।
ভিপি শামীম : জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেনা জ্ঞাপন করেছেন ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি। তিনি এক শোকবার্তায় বলেন, আকমল হোসেন ছিলেন একজন সৎ এবং ন্যায় নিষ্টাবান জনপ্রতিনিধি। তিনি আমৃত্য মানুষের সেবা করেছেন। তার মৃত্যুতে দল একজন নিবেদিত প্রান বঙ্গবন্ধু প্রেমী মানুষকে হারালো।
উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আকমল হোসেন নৌকা প্রতীকে ২৩ হাজার ৩শ’ ২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জমিয়তের খেজুর গাছ প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম পেয়েছেন ১৮ হাজার, ৭৬৭ ভোট। এনিয়ে দুইবার জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন আকমল। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন একাধিকবার মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে ‘গেøাল্ড মেডেল’ পেয়েছেন এবং ২০১৬ সালে সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগদানের জন্য গত বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আকমল হোসেন ঢাকায় গিয়েছিলেন।