কাজিরবাজার ডেস্ক :
বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। চলতি ২০২২ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেমা ৯ মাসে দেশটিতে ৭ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে।
যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৫১ শতাংশ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অফিসিয়াল সোর্স ‘অফিস অব টেক্সটাইলস এন্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা)’ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
রবিবার ( ৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে এ তথ্য জানিয়েছে তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির পেছনে ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির সময় কারখানা চালু রেখে তৈরি পোশাকের চাহিদা পূরণ করার কারণে এ সুফল পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ-এর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে অন্যান্য দেশের তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। সে সময় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা খোলা রাখা হয়েছিল। মহামারির মধ্যে তৈরি পোশাক সরবারহ করার এ সুফল বাংলাদেশের। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশের উন্নয়নে অনেকগুলো কাজ করেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির এটাও অন্যতম প্রধান কারণ।
অটেক্সা’র তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৭ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করে। এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে তাদের পোশাক আমদানি ৫০ দশমিক ৯৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই সময়ে বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ৩৪ দশমিক ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ পোশাক রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছে।
চীন ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সর্ব বৃহত্তম পোশাক সরবরাহকারী দেশ। ১৮দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ভিয়েতনামের অবস্থান দ্বিতীয়।
২০২২ সালের প্রথম ৯ মাসে চীন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি ২৮দশমিক ৯৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দেশটির তৈরি পোশাক রপ্তানি পরিমান দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সময়ে দেশটিতে ভিয়েতনামের রপ্তানি পৌছেছে ১৪ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ৯ মাসে দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শীর্ষ পোশাক সরবরাহকারীদের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য শীর্ষ দেশগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া ৫৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ ভারত ৫৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম্বোডিয়া ৪৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ পাকিস্তান ৪০ দশমিক ১১ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া ৩৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।