কাজিরবাজার ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ছিল না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে প্রকৃত গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক অধিকার এ দেশের মানুষের ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করি। নির্বাচনে যতটুকু স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে, সেটা কিন্তু আমাদের (আওয়ামী লীগ) আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। ২০০৮-এর নির্বাচনের পর একটানা গণতান্ত্রিক ধারা আছে বলেই তো বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বে সেই মর্যাদা পেয়েছে।
আগামী মাস থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির জন্য জনগণকে আর বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইনশাআল্লাহ হয়তো আগামী মাস থেকে এত কষ্ট আর থাকবে না। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কবে, কে করেছে বাংলাদেশের মানুষের জন্য এত কাজ? এতবার তো ক্ষমতায় ছিল সবাই। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ছিল, কোথায় মানুষের কল্যাণে তারা তো কাজ কখনো করেনি! করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগই করে।
শনিবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দেওয়া সূচনা বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দলটির সর্বোচ্চ থিঙ্কট্যাংক বলে পরিচিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে আগামী জাতীয় সম্মেলন, নির্বাচন, বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সম্ভাব্য আন্দোলন মোকাবিলার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর যেহেতু তেল কিনতে অসুবিধা হচ্ছে, গ্যাস আনতে অসুবিধা হচ্ছে, আর এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশও জ্বালানি সাশ্রয়ের দিকে বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে, তারাও হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে আমাদেরও কিছু দিনের জন্য কষ্ট পোহাতে হয়েছে। ইনশাআল্লাহ হয়তো আগামী মাস থেকে এত কষ্ট আর থাকবে না।’
‘আওয়ামী লীগের সময়ে অন্য দলগুলো রাজনীতি করার সুযোগ পাওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সময় সব দলই কিন্তু তাদের দল করার সুযোগ পাচ্ছে। সেই ব্যবস্থাটা আমরা দিয়েছি। বিএনপি আমলের নির্বাচনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপি যখন জামায়াতকে নিয়ে সরকার গঠন করে, তারপর থেকে দেশে হত্যা, খুন, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিংসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই, যা তারা করেনি। ২০০১-এর নির্বাচন অথবা মাগুরা, মিরপুর বা ঢাকা-১০ এর উপনির্বাচনের কথা যদি কেউ স্মরণ করে, তাহলে বিএনপির আমলে নির্বাচনের নামে কী হতো, সেটা ওইটুকুই যথেষ্ট, যদি দেখেন।’
তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) আমলে নির্বাচনের কথাই ছিল ১০টা হুন্ডা, ২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠা-া। ভোটের বাক্সে সিল মারা থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম হতো। তার জন্য আমরা স্বচ্ছ ভোটার বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা করেছি। কারণ এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ২০০৬-এ নির্বাচন করে বিএনপি। অবশ্য তাদের মুখে এখন খুব গণতন্ত্রের কথা শোনা যায়। তারা নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে!
বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল মন্তব্য করে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। খালি চোখে দেখে না আমাদের দেশের কিছু মানুষ। তাদের কিছুই ভালো লাগে না, তাদের ভালো লাগে ওই অণগণতান্ত্রিক সরকার থাকলে। তাদের ভালো লাগবে না, তাদের ভালো লাগে ওই অগণতান্ত্রিক কিছু হলে তাদের মূল্য বাড়বে বলে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সেই খেলায় খেলতে চায়, তারা বারবার সেই খেলাই খেলেছে দীর্ঘদিন। ২০০৮ নির্বাচনের পর একটানা গণতান্ত্রিক ধারা আছে বলেই তো বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বে আবার সেই মর্যাদা পেয়েছে।’ জ্বালানি তেল, পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে আবারো দেশবাসীকে সাশ্রয়ী হওয়ার পুনর্বার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তেল পানি এবং জ্বালানি ব্যবহারে সকলকে সাশ্রয়ী হতে হবে, মিতব্যয়ী হতে হবে।
কারণ, সারাবিশে^র অর্থনৈতিক মন্দার যে প্রভাব তার থেকে আমরা মুক্ত নই। সে জন্য আমি আহ্বান করছি, কারও এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে। যে যা পারেন উৎপাদন করেন। নিজের জমিতে ফসল ফলান। কেননা, সারাবিশে^র অর্থনৈতিক অবস্থা কিন্তু খুবই খারাপ। কাজেই আমাদের নিজেদের খাদ্যের সংস্থান নিজেরা করতে পারলে বিশ^ব্যাপী চলমান দুর্ভাগ্যের আঁচ বাংলাদেশে লাগবে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা যেমন আয় করছি, খরচাও করছি। আমরা খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছি, যেটা আমাদের প্রয়োজন তার থেকে বেশি উৎপাদন করছি। তারপরও আমরা খাদ্য সব সময় মজুদ রাখি আপৎকালের জন্য। যেন আমার দেশের মানুষের কোনো রকম কষ্ট না হয়।
মানুষকে বিনামূল্যে এবং কমমূল্যে খাদ্য সরবরাহ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বেশি দাম দিয়ে সব জিনিস কিনে নিয়ে এসে কম দামে দিচ্ছি, যাতে কোনো মানুষ খাদ্যে কষ্ট না পায়। টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে চাল, ডাল, তেল, চিনি ভর্তুকিতে দিচ্ছি। এক কোটি মানুষ এটা পাচ্ছে। প্রায় ৫০ লাখ মানুষকে আমরা ১৫ টাকায় দিচ্ছি, আর ৫০ লাখ পরিবার পাচ্ছে বিনা পয়সায়। এখানে যারা বয়োবৃদ্ধ তাদেরকে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা গৃহহীন-ভূমিহীন তাদের ঘর করে দিচ্ছি। যাদের ঠিকানা ছিল না, এ ধরনের যত মানুষ পাচ্ছি, আমরা খুঁজে খুঁজে বের করে আমরা বিনা পয়সায় ঘর দিচ্ছি। কিছুদিন আগে বন্যা হয়ে গেল। নদী ভাঙনে যারা ভূমিহীন, আমরা তাদেরও ঘর করে দেব। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। এখানে আমরা নিজেদের ভাগ্য গড়তে আসিনি, গড়ছি বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য। আজকে বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। আমরা বৃত্তি-উপবৃত্তি, মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তা দিচ্ছি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনা পয়সায় দিয়ে দিচ্ছি।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, কবে, কে করেছে বাংলাদেশের মানুষের জন্য এত কাজ? এতবার তো ক্ষমতায় ছিল সবাই। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ছিল, কোথায় মানুষের কল্যাণে তারা তো কখনো করেনি! করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগই করে।
বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত, খালি চোখে দেখে না আমাদের দেশের কিছু মানুষ। তাদের কিছুই ভালো লাগে না। এই গণতান্ত্রিক সরকার তাদের ভালো লাগবে না। অগণতান্ত্রিক কিছু হলে তাদের মূল্যটা বাড়ে। এটাই তারা ভাবে। বাংলাদেশে সেই খেলাই খেলতে চায় তারা। বারবার তো সেই খেলা চলেছে দীর্ঘদিন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ২০০৮ এ নির্বাচনের পরে একটানা গণতান্ত্রিক ধারা আছে বলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বে আবার সেই মর্যাদা পেয়েছে। এর আগে বাংলাদেশের নাম শুনলে মনে করত দুর্ভিক্ষ-ঝড়-দারিদ্র্য। এভাবেই ছোট চোখে দেখত। এখন তো আর সেই ছোট চোখে আর বাংলাদেশকে দেখতে পারে না! কারণ, আমরা বিজয়ী জাতি। জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করেই চলব আমরা। সেটাই করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন ধরে আমি দেখছি, রিজার্ভ নিয়ে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। করোনাকালে আমাদের আমদানি হয়নি, কেউ বিদেশে যেতে পারেনি, কোনো রকম খরচ ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা, যেহেতু কেউ বিদেশে যেতে পারেনি, হুন্ডি ব্যবসাও ছিল না, একেবারে সরকারিভাবে সব টাকা এসেছে। যার ফলে আমাদের ভালো ফান্ড আসে। যেখানে ’৯১ থেকে ’৯৬ পর্যন্ত বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন রিজার্ভ রেখে গিয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার। যেটা ৩ মাসের খাবার আমদানি করারও পয়সা হতো না।
প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে মানুষের কল্যাণেই তার সরকার রিজার্ভের টাকা খরচ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন করোনা একটু কমে গেছে এবং অতিমারীর সময় যে আমদানি বন্ধ ছিল, যেমন কেপিটাল মেশিনারিজ এবং কাঁচামাল- সেগুলো ক্রয়ে এখন অর্থ ব্যয় হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ অতীতের ঋণের সুদও গুনতে হয় বড় অঙ্কের। যে ক্ষেত্রে তার সরকার কখনো ঋণখেলাপি হয়নি। তিনি বলেন, আমাদের এখনো যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে ৫ মাসের আমাদানি ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব। এটি ৩ মাসের থাকলেই যথেষ্ট। সেই সঙ্গে ৮ বিলিয়ন ডলার আমরা আলাদাভাবে বিনিয়োগ করেছি।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরও বলেন, সব থেকে আধুনিক বিমান আমরা কয়েকখানা ক্রয় করেছি। এটা আমাদের রিজার্ভের টাকা দিয়েই করেছি, অন্যের কাছ থেকে টাকা ধার নেইনি। কারণ, সেখানে ধার নিলেও সেটাকা সুদসহ শোধ দিতে হতো। সেই টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিমান নিয়েছে এবং ২ শতাংশ সুদে সেই টাকা আবার ফেরত দিচ্ছে। ফলে দেশের টাকা দেশে থাকছে। রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেওয়ায় টাকা খরচ হচ্ছে, যাতে আমাদের লোকই লাভবান হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখি যে, বিএনপির অনেক নেতা মানিলন্ডারিংয়ের কথা বলেন, তারেক জিয়ার শাস্তি হয়েছে মানিলন্ডারিংর কেসে। তার বিরুদ্ধে আমেরিকা থেকে এফবিআই এর লোক এসে বাংলাদেশে সাক্ষী দিয়ে গেছে। মানিলন্ডারিং কেসে সাত বছর সাজা, বিশ কোটি টাকা জরিমানা আর গ্রেনেড হামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারির জন্যও সে সাজাপ্রাপ্ত। এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় খালেদা জিয়া সাজা পেয়েছেন।
করোনার জন্য বিনামূল্যে টিকা প্রদান, টেস্ট করানো এবং আনুষঙ্গিক খাতে যে বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ হয়েছে, সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা-ে সরকারের যে ব্যয়, সেদিকে পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়ার নজর নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা দুর্নীতি-টুর্নীতি, এটা সেটা বলার চেষ্টা করে, কিন্তু কোনোদিন খুঁজে দেখেনি যে, টাকা সব মানুষের জন্য খরচ হয়েছে।
আওয়ামী লীগ কোনো দুর্নীতি করেনি, বরং দুর্নীতিটা তারেক জিয়া, খালেদা জিয়া এবং কোকো করে গেছেন। আর এটা তার সরকারের কথা নয়, আমেরিকা থেকে এফবিআই এসে দুর্নীতির সাক্ষ্য দিয়েছে এবং তাদের পাচার করার কিছু টাকাও উদ্ধার করে দেশে ফেরত আনাও সম্ভব হয়েছে। যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডর সঙ্গে জড়িত, আজকে তাদের দলের মুখে নানা কথা শুনতে হয়।
এ সময় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তারেক জিয়ার সম্পৃক্ততা ও সাজাপ্রাপ্তি এবং তার ওপর একের পর এক প্রাণঘাতী হামলা এবং সে সময় খালেদা জিয়ার বক্তব্য ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীতো দূরের কথা বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবেন না’, ‘আওয়ামী লীগ একশ’ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না’- প্রভৃতি বিষয়গুলো তুলে ধরে প্রধানন্ত্রী বলেন, অর্থাৎ খুন, হত্যা এবং গুমের রাজনীতিতে তারা (বিএনপি) বিশ্বাস করে।
বিএনপি আমলে বাংলা ভাই এবং সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি এবং একযোগে সারাদেশের ৫শ’ জায়গায় বোমা হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে প্রকৃত গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক অধিকার এ দেশের মানুষের ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করি। আর নির্বাচনে যতটুকু স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে, সেটা কিন্তু আমাদের (আওয়ামী লীগ) আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল।