বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকে ধরে রাখতে সিলেট চেম্বারে মুজিব কর্নার নির্মাণের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয় – পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন

11
সিলেট চেম্বার কার্যালয়ে মুজিব কর্নার এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতিকে ধরে রাখতে সিলেট চেম্বার এর কার্যালয়ে মুজিব কর্নার নির্মাণের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা সকলের কাছে তুলে ধরতে এ রকম উদ্যোগ অত্যন্ত প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের ৮১টি দূতাবাসে ‘মুজিব কর্নার’ চালু আছে।
গত ৭ নভেম্বর সোমবার, সন্ধ্যা ৬টায় দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র কার্যালয়ে স্থাপিত ‘মুজিব কর্নার’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপস্থিত চেম্বার নেতৃবৃন্দের দাবীর প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, বাদাঘাট বাইপাস রোডটির কাজ খুব শীঘ্রই শেষ হবে। এছাড়াও ঢাকা-সিলেট ৬ লেন রাস্তার কাজ ও তাড়াতাড়ি শুরু হবে। তিনি বলেন, সিলেটের দিক থেকে রাস্তার কাজটি শুরুর জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছিলাম, কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া খুব ধীরগতিতে হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। তিনি সিলেট থেকে রপ্তানি বৃদ্ধিতে ওয়্যার হাউজ চালু, সিলেট চেম্বারের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি বরাদ্দ, ব্যাংক ঋণ প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণ সহ ব্যবসায়ীদের উত্থাপিত দাবী-দাওয়া সমূহ বাস্তবায়নে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি সিলেট চেম্বার বিল্ডিং সংস্কারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক তাহমিন আহমদ বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে আমরা সিলেট চেম্বারে ‘মুজিব কর্নার’ স্থাপন করেছি। এটি আমাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকে ধরে রাখতে আমাদের সকলকে উদ্যোগী হতে হবে। তাঁর নীতি ও আদর্শকে ধারণ করে আমাদেরকে আগামীর দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র হাত ধরে বাংলাদেশ অচিরেই সমৃদ্ধির শিখরে আরোহন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের কার্যক্রম এখন অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহত্তর সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ও ব্যবসায়ীদেরকে আরো উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বৃহৎ পরিসরে চেম্বার ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন। তাই তিনি সিলেট চেম্বারকে শহরের মধ্যে একটি উপযুক্ত জমি বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ জানান। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া বায়ার-সেলার মিট এবং সিলেট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজনের লক্ষ্যে উপযুক্ত মাঠ বরাদ্দের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, সহ সভাপতি মোঃ আতিক হোসেন, পরিচালক মুশফিক জায়গীরদার, আলীমুল এহছান চৌধুরী, ওমেন্স চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, প্রবাসী উদ্যোক্তা শাহ্ সাহারুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, জেলা পরিষদের সদস্য সুষমা সুলতানা রুহি, সিলেট চেম্বারের পরিচালক জিয়াউল হক, হুমায়ুন আহমদ, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী রাজিব, খন্দকার ইসরার আহমদ রকী, আমিনুর রহমান লিপন, কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সরোয়ার হোসেন ছেদু, সাবেক সহ সভাপতি আতিকুর রহমান লাহিন, মোঃ এমদাদ হোসেন, সাবেক পরিচালক হিফজুর রহমান খান, মুকির হোসেন চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুবুল ইসলাম, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, ব্যবসায়ী নেতা আব্দুর রহমান রিপন, আব্দুল হাদী পাবেল, মোঃ নাজমুল হক, আব্দুল আহাদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল, সিলেট চেম্বারের সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি