৬৮টি কারাগারের কনডেম সেলে ফাঁসির অপেক্ষায় ১ হাজার ৭১৪ জন মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত কয়েদি

100

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশের ৬৮টি কারাগারের কনডেম সেলের নির্জন কক্ষে ফাঁসির অপেক্ষায় প্রহর গুনছে ১ হাজার ৭১৪ জন মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত কয়েদি (আসামি)। কারাগারের কনডেম সেলে ফাঁসির আসামিদের তালিকায় যুক্ত হলো ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ১৬ আসামি। আইনগত প্রক্রিয়া পার হয়ে ফাঁসি কার্যকর হতে এক যুগ থেকে দেড় যুগ ধরে অনেক আসামি কনডেম সেলে মৃত্যুদন্ডের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। স্বাধীনতার পর থেকে বিগত ৪৮ বছরে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে ৪৫২ জন আসামির। উচ্চ আদালতে থাকা এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জুলাই মাসে দেয়া এক চিঠিতে উচ্চ আদালতে থাকা এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত কয়েদির মধ্যে সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অনিষ্পন্ন ১ হাজার ৪৬৭টি মামলা এবং সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে ২৩৭টি মামলা। এসব মামলা ৬ মাস থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বিচারাধীন রয়েছে।
স্ববাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের মে মাস থেকে ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত ৪৮ জনের আপীল নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আইনে ডেথ রেফারেন্স কত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে, তার ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। তবে পেপারবুক তৈরির পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিশু রাজীব হত্যা ও রাজন হত্যা মামলা, সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা, নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলা ও পিলখানা হত্যা মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ যে ১৬ আসামির মৃত্যুদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে তা আইনগত ধাপ পেরিয়ে উচ্চ আদালতে গেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলার নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৬৮টি কারাগারের মধ্যে ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং ৫৫টি জেলা কারাগারেই রয়েছে ফাঁসির আসামি। উচ্চ আদালতে এদের রায় বহাল থাকলে আইন ও কারাবিধি অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ১৬ আসামিকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ। এ রকম বিভিন্ন মামলায় মৃত্যুদন্ডের সাজাপ্রাপ্ত ১ হাজার ৭১৪ আসামি কারাগারের কনডেম সেলে (নির্জন প্রকোষ্ঠে) চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের অনেকের মামলা হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্সের শুনানি চলছে। আবার অনেকে ডেথ রেফারেন্স শেষ হওয়ার পর আপীল করেছে। সেটা আপীল বিভাগে বিচারাধীন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার মামলায় ১৮ বছর আগে বিচারিক আদালত জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ আট আসামিকে মৃত্যুদন্ড দেন। অবশ্য জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এখনও সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন) ও আপীল এখনো উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। একইভাবে পাঁচ বছর আগে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বিচারিক আদালত ১৪ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিলেন। সেটাও এখনও হাইকোর্টের অনুমোদনের অপেক্ষায়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন কর্মকর্তা বলেন, পেপারবুক তৈরিতে দেরি হওয়ায় ডেথ রেফারেন্স বছরের পর বছর ঝুলে রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এসব মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় আসামি ও বিচারপ্রার্থীরা হতাশায় দিন কাটান। মৃত্যুদন্ডের আদেশ হওয়া এসব আসামিকে দীর্ঘদিন কনডেম সেলে রাখার ফলে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। আবার এই বিপুলসংখ্যক আসামির জন্য অর্ধেকের বেশি কারারক্ষীকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। ফলে তারা অন্য আসামিদের দেখাশোনা করতে পারেন না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, উচ্চ আদালতে চলমান ডেথ রেফারেন্স এবং আপীল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করার পর বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে। এ ছাড়া ডেথ রেফারেন্স মামলার বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগের সংশিষ্টদের নিয়ে প্রতি মাসেই সভা করা হয়। ১০ বছরের ওপরে যেসব মামলা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে, ওই সব মামলার বিশেষ শুনানির উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
উচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নিম্ন আদালতে একজন মৃত্যুদন্ডাদেশের আসামির ফাঁসি কার্যকর করতে অনেকগুলো ধাপ পার হতে হয়। বিচারিক আদালতে দেয়া মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হলে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হয়। যা ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন) হিসেবে পরিচিত। হাইকোর্টের রায়ের পর সংক্ষুব্ধ পক্ষ আপীল বিভাগে আপীল করতে পারে। আর আপীলে আসা সিদ্ধান্তের পর তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে সংক্ষুব্ধ পক্ষের আবেদনও করার সুযোগ আছে। ডেথ রেফারেন্স শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক তৈরি করতে হয়, যেখানে মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, সাক্ষীদের বক্তব্য, বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলার তথ্যাদি সন্নিবেশিত থাকে। মামলার পেপারবুক তৈরিতে দীর্ঘসূত্রতা, পর্যাপ্তসংখ্যক বেঞ্চের অভাব, বিলম্বে শুনানি হওয়া, সরকার ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের উদাসীনতাসহ নানা কারণে বছরের পর বছর ধরে ফাঁসির আসামিরা মৃত্যু পরোয়ানা মাথায় নিয়ে রয়েছে কারাগারের কনডেম সেলের অন্ধপ্রকোষ্ঠে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, বহুল আলোচিত মামলায় যাদের মৃত্যুদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে তার মধ্যে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনার একটি মামলা। ২০০০ সালের ২০ জুলাই শেখ হাসিনার ভাষণের জন্য মঞ্চ নির্মাণের সময় মাটিতে পুঁতে রাখা ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া যায়। পরদিন সেখানে তার ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। এই মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় ২০১৭ সালের ২০ আগষ্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মৃত্যুদন্ড দেন ১০ জনকে। এই মামলাটি প্রায় ১৭ বছর পর নিম্ন আদালতের রায়ের পর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়েছে।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলায় ১০ জন নিহত হন। প্রায় পাঁচ বছর আগে এ মামলার রায়ে আট জঙ্গির ফাঁসি আর ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন বিচারিক আদালত। হত্যা মামলাটি এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন। ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপীল শুনানি পর্যায়ে আছে।
বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের (সেভেন মার্ডার) মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ জানুয়ারি নিম্ন আদালতের দেয়া রায়ে ২৬ জনকে মৃত্যুদন্ড ও নয়জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড হয়। আসামিদের মৃত্যুদন্ড অনুমোদনের জন্য আদেশ হাইকোর্টে আসে। এ ছাড়া দন্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ২৮ আসামি হাইকোর্টে আপীল করেন। আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপীলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট ১৫ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদন্ডাদেশ পাওয়া ১১ আসামির দন্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। গত বছরের ১৯ নবেম্বর হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। রায়ের পর আসামিরা সুপ্রীমকোর্টের আপীল শাখায় আপীল করেন। বর্তমানে আপীল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
কারাগারের একজন কর্মকর্তা বলেন, মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামিদের যেই কনডেম সেলে রাখা হয় তাকে এক কথায় বলা হয় কারাগারের ভেতর আরেক কারাগার। কনডেম সেলগুলো অপেক্ষাকৃত নির্জন এবং সুরক্ষিত দরজা একটাই কিন্তু কোন জানালা নেই। অন্ধকার প্রকোষ্ঠ। সেখানেই তাদের দিন কাটে। সকাল দুপুর সন্ধ্যা তিন বেলা খাবার দেয়ার সময় দরজা খুলে তাদের খাবার দেয়া হয়। দেশের ৬৮টি কারাগারের মধ্যে ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং ৫৫টি জেলা কারাগারেই রয়েছে ফাঁসির আসামি। উচ্চ আদালতে এদের রায় বহাল থাকলে আইন ও কারাবিধি অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, যেসব বহুল আলোচিত মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে তার মধ্যে আছে, ২০০৫ সালের ১৪ নবেম্বর সকালে ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতে যাওয়ার পথে দুই বিচারককে বহনকারী মাইক্রোবাসে বোমা হামলা করে জ্যেষ্ঠ বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহমেদকে হত্যা করে জঙ্গিরা। দুই বিচারক হত্যা মামলায় খুলনা কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতা আসামি আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের। এর আগে দুই বিচারক হত্যা মামলার ফাঁসির রায়ে জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুকের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। এর আগে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয় যুদ্ধাপরাধে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ছয় যুদ্ধাপরাধীর। এরও আগে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে দেশের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীকে। তাকে নিয়ে ছয় যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। অপর যে ছয় যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয় তারা হচ্ছেন, বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরী, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, জামায়াতেরই অপর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোলার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত যেসব আলোচিত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হওয়ার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- ডাঃ ইকবাল হোসেন, সাংবাদিক নিজামউদ্দিনের কন্যা শারমিন রীমা হত্যার আসামি মনির হোসেন (খুকু মনি), কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, জঙ্গি নেতা বাংলাভাই, আতাউর রহমান সানী, ডেইজি হত্যা মামলার আসামি হাসান, সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পাঁচ আসামি লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার), মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি) ও মেজর (বরখাস্ত) বজলুল হুদা। রংপুর জেলা কারাগারে ইয়াসমিন হত্যা মামলার আসামি এএসআই মইনুল হক ও আবদুস সাত্তার, দিনাজপুরে ইয়াসমিন হত্যা মামলার আরেক আসামি পিকআপ ভ্যানচালক অমৃত লাল বর্মণ প্রমুখ।