অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় নিয়ে বিদায় পেরুর

35

স্পোর্টস ডেস্ক :
৩৮ বছর পর বিশ্বকাপে খেলতে আসা একটা দলের জন্য অংশগ্রহণই বড় কথা হওয়ার কথা। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকার মানুষের রক্তে মিশে থাকে ফুটবল। তার এক ঝলক আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দেখাল পেরুভিয়ানরা। ৪০ বছরে প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচে জয়ের স্বাদ নিয়ে দেশের পথ ধরলেন গেরেরোরা।
গ্র“প পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে পেরু। এই জয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে দুই দলেরই। সকারুদের জন্য দুঃস্বপ্নের এক ম্যাচ হয়ে থাকবে এটি। ৩৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান তারকা টিম কাহিলের বিদায়টাও সুখকর হলো না। চারবার বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন কাহিল, দলও পারেনি প্রত্যাশা মেটাতে।
অথচ, ম্যাচের শুরুতে আক্রমণে এগিয়ে ছিল সকারুরা। তবে ক্রমেই ডিফেন্স সামলে দৃশ্যপটে হাজির হয় আগের দুই ম্যাচেও দুর্দান্ত খেলা পেরুভিয়ান আক্রমণভাগ। ম্যাচের মাত্র ১৮ মিনিটের মাথায় সকারুদের অফ সাইডের ফাঁদ ভেঙে ডি বক্সের কাছে পৌঁছে যান পেরুভিয়ান অধিনায়ক পাওলো গেরেরো। গোলমুখে দৌড় দিলেও ব্যাক পাস করলে দারুণ ভলিতে বল সামলে কঠিন কোণ থেকে শট নেন কারিয়ো। অসাধারণ এক গোলে এগিয়ে যায় পেরু।
রাশিয়া বিশ্বকাপে এটি পেরুর প্রথম গোল। ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-১ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে গুইয়েরমো লা রোসার পর এই প্রথম বিশ্বকাপে পেরুর হয়ে গোলের দেখা পান কারিয়ো।
গোল খেয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু প্রথমার্ধে আর কোন গোল হয়নি। বরং দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিট পার হতেই আবারও গোলের দেখা পায় পেরু। এবার গোলদাতা দলটির অধিনায়ক পাওলো গেরেরো।
বাম দিক থেকে আক্রমণ সাজিয়ে কাট ব্যাক করে সকারু মিডফিল্ডার মিলে জেদিনাককে বোকা বানিয়ে বল পেয়ে গোলবারের কাছ থেকে শট নিয়ে নিজের প্রথম গোলের দেখা পেলেন পেরুভিয়ান অধিনায়ক। সকারু ডিফেন্ডার রায়ানের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না।
মাদক গ্রহণের অভিযোগে যার বিশ্বকাপ খেলাই অনিশ্চিত ছিল সেই গেরেরো বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোলে দলকে ২-০ ব্যবধানে
এগিয়ে দেন। দেশটির ফুটবলে সবচেয়ে বড় তারকার এই গোলেই নিশ্চিত হয় পেরুর জয়। দেশে ফিরে আজীবন গর্ব করার মতো এক গল্পই ধারণ করে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের হয়ে শেষবারের মতো বিশ্বকাপ খেলে ফেলা গেরেরো।
আজকের ম্যাচে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন পেরুর আন্দ্রে কারিয়ো।
(২৬ জুন) গ্র“প ‘সি’র আরেক ম্যাচে জয় পায়নি ফ্রান্স-ডেনমার্কের কেউই। ফলে গ্র“প পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে পেরু ও অস্ট্রেলিয়ার। আর শেষ ষোলোতে উঠে গেছে ফ্রান্স ও ডেনমার্ক।