কাজিরবাজার ডেস্ক :
মিশর জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৭) সামনে রেখে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বক্তারা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিপূরণ বাবদ সৃষ্ট তহবিলে অর্থ না দেওয়ার জন্য চলতি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ একটি অজুহাত হিসেবে দেখাতে পারে উন্নত্ব বিশ্ব। কিন্তু এ বিষয়ে বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সোচ্চার হতে হবে। উন্নত্ব বিশ্ব ইচ্ছে করেই সম্মেলনের দিন বাড়িয়ে দেয়। ততদিনে অনেকে নিজ দেশে চলে যায়। ফলে তাদের অনুপস্থিতিতে অনেক সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে। এ বিষয়ে সিভিএফভুক্ত (জলবায়ু পরিবর্তানের কারণে বিপদাপন্ন দেশের ফোরাম) দেশগুলোকে সোচ্চার থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় ওই ওয়েবিনার শুরু হয়। চলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী।
এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। আলোচনা করেন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, অধ্যাপক খন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, এয়ার চিফ মার্শাল মশিউজ্জামান, হুমায়ূন খালিদ, ড. নুরুল কাদির, অধ্যাপক এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান, ড. মালিহা মুজাম্মিল, অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান আহমদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক প্রমুখ।
ওয়েবিনারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবেশকর্মী ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, এবারে জলবায়ু সম্মেলনের ত্রিশ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এতদিনে বৈশিক পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা দূরের কথা দিন দিন আরও অবনতি হচ্ছে পরিস্থিতি। এটা বৈশ্বিক লিডারশিপের ব্যর্থতা।
অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ এ দুই ধরনের ক্ষয়ক্ষতি আছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং হয়ে গেলো, কিছুদিনের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ একটি হিসাব দেবে যে কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক পরোক্ষ ক্ষতি আছে। সেগুলোও হিসাব আনা দরকার। এ দুই ধরনের ক্ষতির বিষয়টি জলবায়ু সম্মেলনে তুলে ধরতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, কপে আগের বছরগুলোতে যা আলাপ হয়েছে ঘুরেফিরে বিশ্ব সেখানেই আছে। ৫ বছরে ৫০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে খুব বেশি আলাপ হয়নি। টাকা পাবো না এটাই সঠিক। যুদ্ধের কারণে এবার দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে। এ বিষয়টি উন্নত্ব বিশ্ব অজুহাত হিসেবে সামনে আনবে। এছাড়া নিজের দেশের ক্ষতির কথাও বলবে। যুদ্ধকে তারা একটা হাতিয়ার পেয়েছে। তারপরও আমাদের কথা আমাদের বলে যেতেই হবে।