নৈশব্দের কাব্য :
অবিনস্ত পরাজিত পক্তিমালাগুলো
কালের পরিক্রমায় অটল অবস্থানে,
পরিণতি- নিবিড়ে নৈশব্দের কাব্যগ্রন্থ।
নিশ্চুপ নিরবতাগুলো ক্রমশ
ভাঙে চূর্ণ বিচূর্ণ পিছুটান,
পথরোধ করে গতিহীন স্মৃতিচারণ।
জানান দেয় অমোঘ উপস্থিতি
দুর্নীতিতে যত হতাশার প্রহসন,
খেই হারায় সাবলীলতা, চলমান ছন্দ।
সংযত চিত্তে তাই ভাগ্য বিধাতা
মুছে চলে আগামীর হাতছানিগুলো।
নিশ্চল অচলে ঠায় স্থবিরতা
নিরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ,
নিরাশার বালুচরে মুখ থুবরে পড়ে
সকল চাওয়া, পাওয়া- না পাওয়া।
অসহ্য, অসহনশীল বহমান ক্ষণকাল
দমবন্ধ আর্তনাদে গুমরে মরে।
মমত্বের আবেশে সুধায় কিছু জিজ্ঞেসা-
তোমার কি মন খারাপ…??
না…তো! এড়িয়ে চলা সহগ্র প্রশ্ন !
চাপা দিতে অন্তহীন অভিযোগ
নিত্য মুখোশের অন্তরালে চলে
কতই না ছলা-কলা-অভিনয়!
মুখে এক চিলতে হাসি,
হাঁসির অন্তরালের ছাইচাপা অভিমান!
ব্যবচ্ছেদে ছেদ করার অব্যর্থ চেষ্টার
কেউ প্রয়োজনও মনে করে না।
কালের সমীকরণে প্রবহমান গল্পগুলো
আত্মদহনের লেলিহান দাবানলে
পুড়ে যায়, পুড়িয়েও যায়।
নতুন পংক্তিমালা সংযুক্তিতে
সমৃদ্ধ করে অর্ন্তভুক্ত পরাজয়।
জানা পর্যন্তই পরিসমাপ্তি,
ইতি টানে আগন্তুকের সব অজানা কৌতুহল…।।