হাকালুকি হাওরে ৮ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ১৬০ মিটার নিষিদ্ধ বেড়জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ

7

বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
হাকালুকি হাওরের মৌলভীবাজারের বড়লেখা অংশের গ্রুপবদ্ধ জলমহাল ও বিভিন্ন বিলে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৬০ মিটার অবৈধ বেড়জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করেছে। সোমবার (২ আগষ্ট) সকাল আটটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত প্রায় আটঘন্টা এই অভিযান চালানো হয়। তবে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে মাছ শিকারিরা পালিয়ে যায়। এ কারণে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী। এতে সহায়তা করেছে বড়লেখা থানা পুলিশ।
সূত্র জানায়, হাকালুকি হাওরের বড়লেখা অংশের জল্লা, ফাড় জল্লা, বালিঝুরি গ্রুপবদ্ধ জলমহাল ও পিংলা, মাইছলা, পলোভাঙাসহ বিভিন্ন বিল থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ বেড়জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে শিকারিরা মাছ শিকার করছে। এতে হাওরে মাছের প্রজননের হার কমছে। পাশাপাশি হাওরের জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২ আগষ্ট) সকাল আটটায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলীর নেতৃত্বে হাওরে অভিযান চালানো হয়। এসময় হাওরের জল্লা, ফাড় জল্লা, বালিঝুরি গ্রুপবদ্ধ জলমহাল থেকে নিষিদ্ধ ১০৫ মিটার অবৈধ বেড়জাল এবং হাওরের পিংলা, মাইছলা, পলোভাঙাসহ বিভিন্ন বিল থেকে প্রায় ৬০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। তবে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে মাছ শিকারিরা পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকরা জালগুলো বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী সোমবার বিকেলে বলেন, হাওরে মাছের প্রজনন ও বাস্তুসংস্থান বিনষ্ট করে অবৈধ জালের ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি ইজারাবিহীন সরকারি জলমহালে অবৈধভাবে মাছ আহরণ বন্ধ করার লক্ষ্যে হাকালুকি হাওরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বেশ কিছু বেড়জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। পরে জালগুলো পুড়ানো হয়েছে। তিনি জানান, হাকালুকি জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।