সিলেটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায়দের মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলার ১২টি থানায় একযোগে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়। জেলা পুলিশের মাধ্যমে ৭ হাজার অসহায় মানুষের মধ্যে ত্রাণ হিসেবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিয়ানীবাজার উপজেলার কুশিয়ারা তীরবর্তী আটিটিলা গ্রাম থেকে এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন। আটিটিলা গ্রামের পর পুলিশ সুপার বিয়ানীবাজার উপজেলার আঙ্গারজুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চারখাইয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রেরিত ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান, জকিগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক ইখতিয়ার উদ্দিন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিবেদক শাহ্ দিদার আলম নবেল, কালেরকন্ঠের আলোকচিত্রী আসকার আমিন রাব্বী, বাংলানিউজের আলোকচিত্রী মাহমুদ হোসেন ও নিউজটোয়েন্টিফোর টিভির ক্যামেরাপার্সন শফি আহমদ।
ত্রাণ বিতরণকালে সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, টানা বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে এবছর সিলেটে আকস্মিক বন্যা হয়েছে। ২০০৪ সালের পর এরকম ভয়াবহ বন্যা আর হয়নি। বন্যার সময় প্রায় এক সপ্তাহ মানুষ পানিবন্দি ছিল। এখন পানি নেমে গেলেও অসহায় লোকজন মারাত্মক কষ্টের মধ্যে রয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপ যেভাবে এই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। এভাবে দেশের বড় বড় শিল্পগ্রুপগুলো অসহায়দের পাশে দাঁড়ালে তাদের দু:খ কষ্ট অনেকটা লাঘব হতো।
প্রসঙ্গত, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ অসহায়দের জন্য দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরার পক্ষ থেকে ১০ হাজার প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৭ হাজার প্যাকেট সিলেট ও ৩ হাজার প্যাকেট সুনামগঞ্জে জন্য পাঠানো হয়। সিলেটে জেলা পুলিশের মাধ্যমে ১২টি থানায় এই ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। থানাগুলো হচ্ছে সিলেট সদর, মোগলাবাজার, বিশ^নাথ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ। এছাড়া সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি