কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা ৭২ ঘণ্টা হরতালের কারণে রবিবার ও মঙ্গলবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার তারিখ পেছানো হয়েছে। আগামী শুক্রবার ও শনিবার পরীক্ষা দুটি নেয়া হবে।
পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী ১৩ ফেব্র“য়ারি সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ইংরেজী প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মাদরাসা বোর্ডের আরবি প্রথম পত্র এবং কারিগরি বোর্ডে গণিত-২ (১৯২৩) ও গণিত-২ (৮১২৩) বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৪ ফেব্র“য়ারি সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন একই সময়ে মাদরাসা বোর্ডের আরবি দ্বিতীয় পত্র এবং কারিগরি বোর্ডের বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়-২ (সৃজনশীল) ও সামাজিক বিজ্ঞান-২ (সৃজনশীল/সাধারণ) বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই পরীক্ষা পেছানোর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাদের জীবনের নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। হরতাল-অবরোধের মধ্যে পরীক্ষা নেয়ার চাপ থাকলেও শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।’
২০ দলীয় জোটের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘আপনাদের প্রতি অনুরোধ পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে অন্তত পরীক্ষার দিনটি হরতালমুক্ত রাখুন। যদি সেটিও সম্ভব না হয় তাহলে ন্যূনতম পরীক্ষার দুই ঘণ্টা আগে থেকে পরীক্ষা শেষের দুই ঘণ্টা পর পর্যন্ত হরতাল স্থগিত রাখুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৫ লাখ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে হলেও এই রাজনীতি বন্ধ করুন। নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করবেন না। ওরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ কর্ণধার।’
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো.শাহজাহান, শিক্ষাবোর্ডের সচিব ড. পীযূষ দত্ত ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মাহবুব হাসান উপস্থিত ছিলেন।
দুই দফা হরতাল ডাকায় এর আগে দু’বার পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছিল।
গত ২ ফেব্র“য়ারি সোমবার থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। ওই দিন বিরোধীজোটের ডাকা হরতালের কারণে সেদিনের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়। ৬ ফেব্র“য়ারি সে পরীক্ষা নেয়া হয়।
হরতালের সময় আবারো বাড়ানো হলে ৪ ফেব্র“য়ারির পরীক্ষা পিছিয়ে ৭ ফেব্র“য়ারি নেয়া হয়।
এবার ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩৯ জন ছাত্র এবং ৭ লাখ ১৫ হাজার ৯২৭ জন ছাত্রী। এবার গত বছরের চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৪৬ হাজার ৫৩৯ জন।