জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ছিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ এর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ শীর্ষক বিভ্রান্তিমূলক সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যৌথ জরুরী কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী কয়ছর এম আহমদের বাড়িতে তাদের ব্যবহৃত গৃহগুলো বর্তমানে পরিত্যক্ত রয়েছে এবং পার্শ্ববর্তী গৃহটি তাদের নিযুক্ত কেয়ারটেকার হাবিবুর রহমান বসবাস করেন। তাদের বাড়িতে অব্যবহৃত একটি বাড়ির গ্যারেজসহ কয়েকটি ভাড়াটিয়া কলোনী রয়েছে। আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পারি বিগত ১৪ সেপ্টেম্বর মধ্য রাতে তাদের বাড়ির পরিত্যক্ত গ্যারেজে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
এ নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসচিবসহ সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ নির্লজ্জভাবে সরকার ও আওয়ামী লীগকে দায়ী করছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও হাস্যকর। এ অগ্নিকান্ডের বিষয়ে পাড়া প্রতিবেশি, এলাকাবাসী, ফায়ার সার্ভিসসহ জগন্নাথপুর থানা পুলিশ অবহিত নয়। যার কোন সত্যতা নেই।
তাদের কোন হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য একটি গল্প-কাহিনী তৈরি করেছেন। পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করলে সঠিক তথ্য বেড়িয়ে আসবে। জগন্নাথপুর উপজেলা সর্বজনস্বীকৃত একটি রাজনৈতিক, সামাজিক সম্প্রীতির সৌহার্দপূর্ণ এলাকা। দীর্ঘ দেড় দশক যাবত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ থাকলেও এ অঞ্চলে রাজনৈতিক সম্প্রীতি বিনষ্টের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট করার লক্ষে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানের দোসররা নতুন কোন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে এবং রাজপথে সভা-সমাবেশের নামে সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। রাজনীতির নামে তাদের এসব অপরাজনীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাদেরকে হুঁশিয়ারি করে বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরণের অশালীন অরাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করলে রাজপথে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ সিদ্দিক আহমদ। জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আকমল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হারুন রাশীদ, বর্তমান সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম মশাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দ্বীপ সুত্রধর বীরেন্দ্র, সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও পাটলি ইউপি চেয়ারম্যান আঙ্গুর মিয়া, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আবুল হাসান, আশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব খান, রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাজী আব্দুল জব্বার, শ্রম সম্পাদক সৈয়দ শেফুল আমিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ ফিরোজ আলী, সদস্য মোঃ আফু মিয়া, জগন্নাথপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম মুন্না, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম রিপন, এম ফজরুল ইসলাম, পাটলি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হাজী জমশেদ মিয়া তালুকদার, আশারকান্দি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হাজী আব্দুস ছত্তার, মিরপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান, পাটলি ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মনু মোহাম্মদ মতছির, কলকলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বশির আহমদ, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, দিলাওর হোসেন দুলা, যুগ্ম-সম্পাদক সুহিন আহমদ দুদু, জেলা ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম জামাল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল মুকিত, সাধারণ সম্পাদক তাহা আহমদ, পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক মিসবাহ আহমদ প্রমুখ।
