স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে সিএনজিচালিত অটোরিক্সার যাত্রীদের স্বর্ণের বার বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছে একটি চক্র। দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করা এ চক্রের বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযোগ উঠে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
গত মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হলেও বুধবার মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এমন তথ্য গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মহানগর পুলিশের মিডিয়া শাখা থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, ময়মনসিংহ জেলার গৌড়িপুর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের মো. চান মিয়ার পুত্র জজ মিয়া (২৮), এয়ারপোর্ট থানার খাসদরীর এলাকার আবদুল হাফিজের পুত্র ইসলাম (৩০), একই থানার আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার মৃত বিল্লাল’র পুত্র সুমন আহমদ (২৩), একই থানার খাসদবীর বাধন বি-১৮ এলাকার বাদল মিয়ার পুত্র হালিম আহমদ (৩০) ও সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার উকিল আলীর পুত্র নুর হোসেন (৩৪)।
পুলিশ জানায়- গত ১৭ আগস্ট দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মেইন গেইটের বিপরীতে নুরজাহান হোটেলের সামনে হতে প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য অভিনব কায়দায় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার উত্তর মাঠগাঁও এলাকার নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. বানেছা বেগম (৪৫) এর নিকট হইতে ৩ ভরি ওজনের ১টি নকল স্বর্ণের টুকরা (বার) দেখিয়ে সঙ্গে থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল ও ১২ আনা ওজনের আরেকটি স্বর্ণের চেইন এবং নগদ ১৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি স্বর্ণের টুকরা (বার) স্বর্ণকারকে দেখাইলে স্বর্ণকার জানায় বারটি নকল। এমন প্রতারণার বিষয় তিনি পুলিশকে অবহিত করলে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াছিন খানের দিক নির্দেশনায় হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই কাজী জামাল উদ্দিন গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টায় সময় প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেন। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর ভোক্তভোগি নারী বানেছা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।